Ticker

6/recent/ticker-posts

কম্পিউটার কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি বিস্তারিত তথ্যাদি বাংলাতে

    কম্পিউটার কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি  - আধুনিক যুগে কম্পিউটার মানব জাতির জন্য আর্শিবাদ স্বরুপ। মানব সভ্যতার বিকাশ  ও বর্তমানে তার দ্রুত অগ্রগতির মূলে কম্পিউটারের রয়েছে ব্যাপক প্রভাব। বর্তমান যুগ ইনফরমেশন ও টেকনোলোজি নির্ভর । যার ফলে কম্পিউটারের  চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই আজকের আলোচনার প্রথম অংশে কম্পিউটার কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবঃ

    কম্পিউটার কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি

    কম্পিউটার কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি

    কম্পিউটার কাকে বলে  বা What is Computer in Bangla

    কম্পিউটার যার ইংরেজী হলো Computer । কম্পিউটার শব্দটি গ্রিক শব্দ "কম্পিউট" থেকে এসেছে। কম্পিউট শব্দের অর্থ হিসাব বা গণনা করা। আর কম্পিউটার শব্দের অর্থ হলো গণনাকারী যন্ত্র। কম্পিউটার এমন একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস বা যন্ত্র যা অতি দ্রুত নির্ভুলভাবে বিভিন্ন  ধরনের গাণিতিক ও যৌগিক সমাধান দেয়। এছাড়াও কম্পিউটারের ডেটা বা তথ্য প্রক্রিয়া, সংরক্ষণ এবং পুনরুদ্ধার করার ক্ষমতা রয়েছে। কম্পিউটার ইনপুট ডিভাইসের মাধ্যমে তথ্য গ্রহণ করে এবং বিভিন্ন সফটওয়্যারের মাধ্যমে তা বিশ্লেষণ করে ব্যবহারকারীর সামনে তার ফলাফল উপস্থাপন করে।

    কম্পিউটার  কত প্রকার ও কি কি 

    কম্পিউটার  কত প্রকার ও কি কি

    কম্পিউটার কত প্রকার ও কি কি

    কম্পিউটার কত প্রকারঃ

     গঠন ও বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী কম্পিউটার  তিন প্রকার। যেমনঃ
     
    ১।    এনালগ কম্পিউটার
    ২।    ডিজিটাল কম্পিউটার
    ৩।    হাইব্রিড কম্পিউটার 

     

    বাংলায় এনালগ কম্পিউটার কাকে বলে 

     
    অ্যানালগ কম্পিউটার হলো এমন কম্পিউটার যা কোনো কম্পিউটিং সমস্যাকে ভৌত বৈশিষ্ট্য যেমন বৈদ্যুতিক, যান্ত্রিক, বা  জলবাহী -এর ভৌত এবং চলমান পরিমাপে মডেল হিসেবে রূপ দেয়া হয়। এক কথায়, যে কম্পিউটার পরিমাপ ও পরিমানের উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়, তাকে বাংলায় এনালগ কম্পিউটার বলে। 

     বাংলায় ডিজিটাল কম্পিউটার কাকে বলে

     
    ডিজিটাল কম্পিউটারগুলি মূলত গাণিতিক নীতিগুলির উপর ভিত্তি করে যা খুব সূক্ষ্ম এবং নির্ভুল ফলাফল সরবরাহ করতে সক্ষম। মূলত ডিজিটাল কম্পিউটারগুলি সংখ্যা প্রক্রিয়াজাতকরণের ভিত্তিতে কাজ করে। এক কথায়, একটি কম্পিউটার যা বাইনারি সিস্টেমে প্রক্রিয়া করে অর্থাৎ ০ ও ১ এর উপস্থিতির উপর ভিত্তি করে প্রক্রিয়াকরণের কাজ করে তাকে ডিজিটাল কম্পিউটার বলা হয়।
      

     বাংলায় হাইব্রিড কম্পিউটার কাকে বলে

     
    হাইব্রিড কম্পিউটার এমন একটি কম্পিউটার যা এনালগ এবং ডিজিটাল কম্পিউটারগুলির সর্বোত্তম বৈশিষ্ট্যগুলিকে একত্রিত করে। এটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায়ও ব্যবহৃত হয়। সুতরাং এটি বলা যেতে পারে যে হাইব্রিড কম্পিউটার প্রযুক্তি এবং মৌলিক দিকগুলির ক্ষেত্রে এনালগ এবং ডিজিটাল কম্পিউটারের একটি আংশিক সংমিশ্রণ।

     

    ডিজিটাল কম্পিউটার কয় প্রকার ও কি কি?

    আকার-আয়তন ও ব্যহারের ভিত্তিতে ডিজিটাল কম্পিউটার ৪ প্রকার। যথা:-

    ১।    সুপার কম্পিউটার
    ২।   মেইনফ্রেম কম্পিউটার
    ৩।   মিনি কম্পিউটার
    ৪।    মাইক্রো কম্পিউটার 

    সুপার কম্পিউটার কাকে বলে

    সর্বাধিক শক্তিশালী এবং দ্রুততম কম্পিউটার হলো সুপার কম্পিউটার। এই কম্পিউটারটিতে অনেকগুলি জটিল এবং সূক্ষ্ম কাজ সম্পাদন করার ক্ষমতা রয়েছে। আকার এবং ক্ষমতার দিক থেকে সুপার কম্পিউটারটি বৃহত্তম কম্পিউটার। কম্পিউটারগুলি মহাকাশ এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণা, মহাকাশযান, যুদ্ধবিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়। কয়েকটি সুপার কম্পিউটার এর উদাহরন হলোঃ CRAY 1, supers xll, JAGUAR, NEBULAE, ROADRUNNER, KRAKEN, JUGENE, PLEIADES, TIANHE-1, Sunway Taihulight.  

    মেইনফ্রেম কম্পিউটার কাকে বলে

    সুপার কম্পিউটার থেকে তুলনামূলক কম শক্তিশালী হচ্ছে মেইনফ্রেম কম্পিউটার। কিন্তু সাধারণ কম্পিউটার থেকে মেইনফ্রেম কম্পিউটার আকারে বড় এবং অনেক শক্তিশালী । সাধারনতঃ এই কম্পিউটারকে বাণিজ্যিক কাজে বেশী ব্যবহার করা হয়। ব্যাংক, বীমা ও বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানে তথ্য আদান-প্রদান, সংরক্ষণ এবং গবেষণা কাজে মেইনফ্রেম কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশে ব্যবহৃত এই কম্পিউটারগুলো হলো IBM 370, IBM 9100 and IBM 4341 ইত্যাদি।

    মিনি কম্পিউটার কাকে বলে

    মিনি কম্পিউটার সাধারণ কম্পিউটারের চেয়ে  আকারে বড়। এই কম্পিউটারে টার্মিনাল লাগিয়ে একসাথে প্রায় ৫০ জন ব্যবহার করা যায়। সাধারনতঃ এই কম্পিউটার গুলো শিল্প-বাণিজ্য ও গবেষণা কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।  কয়েকটি মিনি কম্পিউটারের নাম যেমনঃ ibms/36, pdp-11, ncrs/9290 ইত্যাদি।
     

    মাইক্রো কম্পিউটার কাকে বলে

    আমরা সাধারণ ব্যবহারকারীরা যে সকল কম্পিউটার দৈনন্দিন ব্যবহার করি সেগুলোই মূলতঃ মাইক্রো কম্পিউটার। মাইক্রো মানে ক্ষুদ্র বা ছোট। মাইক্রো কম্পিউটারের অন্য আরেকটি নাম  পার্সোনাল কম্পিউটার বা পিসি। মাইক্রো কম্পিউটারে থাকে  মাদার বোর্ড যাতে মাইক্রোপ্রসেসর, র‍্যাম, রম, ইত্যাদ। এছাড়াও হার্ডডিস্ক , সিডি ড্রাইভ সহ অনেক কিছু। 

    মাইক্রো কম্পিউটার কত প্রকার 

    মাইক্রো কম্পিউটারকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-

    ১।    ডেস্কটপ কম্পিউটার
    ২।    ল্যাপটপ কম্পিউটার

    ডেস্কটপ কম্পিউটার কাকে বলে

    ডেস্কটপ কম্পিউটারঃ ডেস্ক অর্থ টেবিল।  টেবিলের উপর রেখে যে কম্পিউটার ব্যবহার করা যায় তাকেই ডেস্কটপ কম্পিউটার বলে। সিপিইউ, মনিটর, কী-বোর্ড, মাউস ইত্যাদি নিয়েই সাধারনতঃ ডেস্কটপ কম্পিউটার গঠিত হয়। ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য এই কম্পিউটার জনপ্রিয় এবং দামও কম।  কয়েকটি ডেস্কটপ কম্পিউটারের উদাহরণ হলো  আইবিএমের পিসি, এ্যপলের মেকিনটোস, কমোডোর এমিগা ইত্যাদি ।

    ল্যাপটপ কম্পিউটার কাকে বলে

    ল্যাপটপ কম্পিউটারঃ ল্যাপটপ অর্থ কোলের উপর। এই কম্পিউটার কোলর উপর রেখে ব্যবহার করা হয় বলে একে ল্যাপটপ কম্পিউটার বলে। তাছাড়া এই কম্পিউটার সহজে বহন করা যায় বলে খুব জনপ্রিয়। আরেকটি সুবিধা হলো এতে ব্যাটারি থাকায় বিদ্যুৎ না থাকালেও দীর্ঘসময় ব্যবহার করা যায়।

    আধুনিক কম্পিউটার বা (Modern Computers)

    Smartphones
    Wearables
    Game Console
    TVs
    Smartphones

    Smartphones

    বর্তমান সময়ে আমরা যে সকল স্মার্ট ফোন ব্যবহার করি সেগুলো দিয়েও কম্পিউটারের মতো কাজ করা যায়। মোবাইল ফোন দিয়ে Internet Browsing, Games, Documents, Calculation, media playing ইত্যাদি করা যায়।

    একটি স্মার্ট ফোন কম্পিউটারের মতোই ইউজার থেকে ইনপুট গ্রহন করে এবং তারপর সেই ইনপুট এর সাথে জড়িত ডাটা প্রসেস ও গণনা করে ইউসার কে আউটপুট হিসাবে ফলাফল প্রদান করে।

    তাই, স্মার্ট ফোন এবং ট্যাবগুলোকে গুলোকে একটি কম্পিউটার হিসেবে গন্য করা হয়।

    Wearables

    Wearables  হলো  small technological device যা শরীরের কোনো বিশেষ অঙ্গে পরা হয়। এই ধরণের ডিভাইজগুলো সাধারণত ডাটা সংগ্রহ করে সেগুলোকে স্টোর ও প্রসেস করে ইউসার কে ফলাফল হিসাবে আউটপুট প্রদান কর। Smartwatches, Fitness Trackers  ইত্যাদি এই ধরণের wearables computer হিসাবে ধরা হয়।

    Game Console

    Game Console গুলো এক ধরণের বিশেষ কাজ করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় যেগুলোর প্রধান কাজ হলো TV তে video games খেলার সুবিধা দেয়া। যেমন, Xbox, Play Stations ইত্যাদি এই ধরণের কিছু জনপ্রিয় game console

    TVs

    বর্তমান সময়ে ব্যবহ্রত স্মার্টটিভি গুলোকেও কম্পিউটারের মধ্যেই ধরা হয়। কারণ, বর্তমান সময়ে একটি স্মার্ট টিভির মাধ্যমে  অনেক ধরণের কাজ করা সম্ভব যেগুলো আগে সাধারণ একটি কম্পিউটার দ্বারা করা যেত। যেমন, ইন্টারনেট চালানো, এপ্লিকেশন এর ব্যবহার, গেম খেলা, ভিডিও স্ট্রিমিং ইত্যাদি।

    তাই, একটি স্মার্ট টিভিগুলোকে আমরা general purpose computers হিসেবে গণ্য করতেই পারি।

    শেষ কথা

    পরিশেষে আমরা বলতে পারি আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা  জানলাম কম্পিউটার কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি। যদি আমাদের পোষ্টটি আপনাদের ভালো লেগে থাকলে পোষ্টটি অবশ্যই শেয়ার করবেন।

    এছাড়া, বিষয়টি  নিয়ে যদি কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকে তাহলে নিচে কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। আমার চেষ্টা  সব সময় থাকবে আপনাদেরকে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত দিয়ে এই বিষয়টি নিয়ে আপডেট রাখতে।

    তাই আশা করছি, “কম্পিউটার কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি” নিয়ে লিখা এই পোষ্টটি  আপনাদের উপকারে আসবে।

     

    আরও পড়ুনঃ 

     
     

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    3 মন্তব্যসমূহ