Ticker

6/recent/ticker-posts

উইন্ডোজ ১১ ।। আনুষ্ঠানিক ভাবে লঞ্চ হয়েছে উইন্ডোজ-১১।। উইন্ডোজ ১১ লঞ্চ হলো

    উইন্ডোজ ১১ লঞ্চ হলোঃ বেশকিছু দিন আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিল যে আগামী ২৪ জুন ২০২১ উইন্ডোজ-১১ বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দিতে যাচ্ছে জনপ্রিয় সসফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট। মাইক্রোসফট তাদের কথা রেখেছেন।  গত ২৪ জুন ২০২১ তারিখ রাতে দারুণ কিছু সুবিধার কথা উল্লেখ করে তা ব্যবহার কারীদের জন্য উন্মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন মাইক্রোসফট এর উইন্ডোজ দলের প্রধান পানোস পানয়।  বুট স্ক্রিন, লোগো, স্টার্ট আপ সাউন্ড থেকে শুরু করে একঝাক নতুন ফিচার এবং চোখ ধাঁধানো ডিজাইন সমৃদ্ধ করা হয়েছে উইন্ডোজ ১১- তে। এর প্রায় ০৬ বছর আগে আর্থাৎ ২০১৫ সালের জুলাই মাসে উইন্ডোজ ১০ লঞ্চ করা হয়েছিল। তারপর দীর্ঘ ছয় বছর পর মাইক্রোসফট তাদের নতুন ভার্সন চালু করল। 

    উইন্ডোজ ১১ - windows 11 ।। আনুষ্ঠানিক ভাবে লঞ্চ হয়েছে উইন্ডোজ-১১

    উইন্ডোজ ১১ - windows 11 ।। আনুষ্ঠানিক ভাবে লঞ্চ হয়েছে উইন্ডোজ-১১

    নতুন এই অপারেটিং সিস্টেমটিতে প্রাথমিক অবস্থায় মনে হচ্ছে  নকশায় সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন আনা হয়েছে। সহজ ভাবে বললে বলা যায় উইন্ডোজ ১১ তে ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস তৈরি করা হয়েছে যাতে ব্যবহারকারীরা সাচ্ছন্দ্যে এটি ব্যবহার করতে পারেন।  পাশাপাশি উইন্ডোজ স্টোরেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। 

    কবে চালু হবে উইন্ডোজ ১১ঃ

    আগামী সপ্তাহ থেকে প্রাথমিক ভাবে পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে উইন্ডোজ ইনসাইড মেম্বারদের জন্য চালু হবে উইন্ডোজ ১১। পাশাপাশি আগামী বছর থেকে উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারকারীরা উইন্ডোজ ১১- এর ক্ষেত্রে ‘ফ্রি আপগ্রেড’ সুবিধা পাবেন। এছাড়াও নতুন সকল ডেস্কটপ কম্পিউটারে  পূর্ব থেকেই ইনস্টল করা থাকবে উইন্ডোজ ১১। তাছাড়া মাইক্রোসফট PC Health Check app রিলিজ করবে যার সাহায্যে ব্যবহারকারী তাঁর পিসি উইন্ডোজ ১০ আপগ্রেড যোগ্য কি না তা যাচাই করে নিতে পারবেন । আরও  জানা গেছে যে সকল ইউজার উইন্ডোজ ৭ সমৃদ্ধ  পিসি ব্যবহার করেন তাদের পিসিতে যদি নূন্যতম স্পেসিফিকেশন থাকে তাহলেই তারা তাদের পিসি ইউন্ডোজ ১১- তে আপগ্রেড করতে পারবেন। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র উইন্ডোজ ১০- এর লাইসেন্স ক্রয় করলেই হবে। সাধারণ গ্রাহকরা ২০২২ সালে রিটেল থেকে উইন্ডোজ ১১ ক্রয় করতে পারবেন।

    উইন্ডোজ ১১ এর জন্য নূন্যতম প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যারঃ

    এ এমডি, ইন্টেল, কোয়ালকম এর মতো যে কোনও বড় সিলিকন পার্টনার সঙ্গেই মানিয়ে নিতে পারবে  উইন্ডোজ ১১। তবে উইন্ডোজ ১১, উইন্ডোজ ১০- এর মতো হাল্কা নয় তাই  এটি ব্যবহারের জন্য সামান্য কিছু হার্ডওয়ার খুবই প্রয়োজন। অন্তত পক্ষে ৬৪ বিট x86 অথবা ARM প্রসেসর, ৪ জিবি র‍্যাম, ৬৪ জিবি স্টোরেজ অবশ্যই লাগবে। অথচ উইন্ডোজ ১০- এর ক্ষেত্রে মাত্র ১ জিবি র‍্যাম আর ১৬ জিবি স্টোরেজ হলেই কাজ করা যেত।

    উইন্ডোজ ১১ - windows 11 ।। আনুষ্ঠানিক ভাবে লঞ্চ হয়েছে উইন্ডোজ-১১

    উইন্ডোজ ১১ - windows 11 ।। আনুষ্ঠানিক ভাবে লঞ্চ হয়েছে উইন্ডোজ-১১

    ইউন্ডোজ ১১ এর বেসিক ফিচারঃ

    মাইক্রোসফট এর পূর্বে প্রকাশিত উইন্ডোজ সমুহের কিছু কিছু সমস্যা বিশেষ করে উইন্ডোজ ১০ এর ব্যবহারকারিদের সহজে ব্যবহার জনিত সমস্যার বিষয়টি বিবেচনা করে এবং অ্যাপল কোম্পানি এর সাথে প্রতিযোগিতায় মার্কেটে টিকে থাকার লক্ষ্যে মাইক্রোসফট তাদের নতুন প্রকাশিত উইন্ডোজ ১১তে সর্বোচ্চ ইউজার ফ্রেন্ডলি সুবিধাদি দেয়ার চেষ্টা করেছে।  চলুন দেখে নেওয়া যাক কি কি সুবিধা থাকছে উইন্ডোজ ১১ এঃ

    > উইন্ডোজ ১১ এর ষ্টার্ট মেনুতে একটা আলাদা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।  স্টার্ট বোতামটি বেশ আলাদা দেখাচ্ছে বামপাশের নিচে না দেখিয়ে তা টাক্সবারের মাঝ বরাবর স্ক্রিনের মাঝামাঝি দেখাচ্ছে। 

    > উইন্ডোজ ১০ এর ষ্টার্ট মেনুতে যে লাইভ টাইলস দেখা যেত সেটা উইন্ডোজ ১১ এ থাকছে না। তার পরিবর্তে থাকছে অ্যাপস বা সফটওয়্যার এর তালিকা যা দেখতে বেশ ইউজার ফ্রেন্ডলি মনে হচ্ছে। 

    > সাম্প্রতিক ডকুমেন্ট এর সাথে কোন কিছু খোঁজার অপশন যুক্ত করা হয়েছে। 

    > স্কাইপ এর বদলে মাইক্রোসফট টিমস যুক্ত করা হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্স ও আত্মীয় স্বজনদের সাথে যোগাযোগ এর জন্য এটি ব্যবহৃত হবে। 

    > স্টার্ট মেনুর নকশায় অ্যাপেল এর ম্যাকওএসের প্রভাব লক্ষ্যনীয়। আর অ্যাপ আইকনে এ্যান্ডোয়েড ও আইওএস এর প্রভাব স্পষ্ট।  ক্ণাগুলো কিছুটা গোল করা হয়েছে।  উইন্ডোজে ডার্ক ও লাইট মোড যুক্ত করা হয়েছে যা বেশ ভালো ভাবে কাজ করছে বলে দেখা যাচ্ছে। 

    > উইন্ডোজ ১১ তে স্ন্যাপ লেআউট নামে একটি ফিচার যুক্ত করা হয়েছে যা একাধিক মনিটরে কাজের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হবে বলে মনে হচ্ছে। বিশেষ করে সঠিক মনিটরে সঠিক অ্যাপ্সটি যে দেখাচ্ছে তা নিশ্চিত করার জন্য এই সুবিধাটি কাজ করবে। 

    > মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ১১ এ প্রভুত উন্নতি সাধন করা হয়েছে। উইন্ডোজ ১১ ব্যবহার কারীরা মাইক্রোসফট থেকে সরাসরি অ্যাপ ব্যবহারের সুবিধা ভোগ করবেন। এই জন্য তারা উইন্ডোজ ১১ তে ট্যাব ও স্ক্রিনটার্চ মোড যুক্ত করেছেন। উল্লেখ্য যে, মোবাইল অ্যাপ কম্পিউটারে ব্যবহারের জন্য ইনটেল ব্রিজ নামক একটি সিস্টেম চালু করবে মাইক্রোসফট। এই সিস্টেম টি ইনটেল এর তৈরি হলেও তা শুধু ইনটেল প্রসেসর এর জন্য সীমিত নয়, ইনটেল ছাড়াও এএমডি এবং এআরএমডি সমৃদ্ধ প্রসেসর যুক্ত কম্পিউটার এই সুবিধা ভোগ করতে পারবে। অ্যাপলের এম-১ প্রসেসর নির্ভর ম্যাক কম্পিউটারে ৩২ বিট (এক্স ৮৬) সফটওয়ারগুলোকে এআরএম প্রসেসর উপযোগী করে তুলতে রজেটা নামক একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হয়। ইনটেল ব্রিজ এই কাজটি উল্টিয়ে করবে অর্থাৎ এআরএম নির্ভর অ্যাপগুলো এক্স ৮৬  সাপোর্ট উপযোগী করে তুলবে। আর যে সব কম্পিউটার এআরএম প্রসেসর সমৃদ্ধ সেগুলো তে ইনটেল ব্রিজ এর প্রয়োজন নাই।  তারা সরাসরি মোবাইলের ন্যায় অ্যাপস ব্যবহার করতে পারবে।

    > অটো এইচডিআর এর আওতায় একই গেমের গ্রাফিক্স উন্নত করার মাধ্যমে গেমিংয়ে গুরুত্ব দিয়েছে মাইক্রোসফট।  উইন্ডোজ ১১ ব্যবহার কারীরা নির্দিষ্ট ফি প্রদানের ম্যধ্যমে গেম খেলতে পারবেন। 

    > মাইক্রোসফট এর বিদ্যমান গ্রাহকেরা যারা উইন্ডোজ ১০ ব্যবহার করছেন তারা উইন্ডোজ ১১ বিনামূল্যে আপগ্রেড করতে পারবেন। তার জন্য ব্যবহার কারীর কম্পিউটারে আপগ্রেড উইন্ডোজ অপশন টি চালু থাকা লাগবে। 

    মাইক্রোসফট এর ববর্তমান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সত্য নাদেলা প্রতিষ্ঠানটির উইন্ডোজ নির্ভরতা কমিয়ে ক্লাউড কম্পিউটিং দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন। তাই আশা করা যায় মাইক্রোসফট এর বিদ্যমান গ্রাহকেরা বিনামূল্যে উইন্ডোজ ১১ ব্যবহার করতে পারবেন।




    আরও পড়ুন

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    0 মন্তব্যসমূহ