প্রিয় পাঠক আপনি যেহেতু এই আর্টিকেলটি ওপেন করেছেন তারমানে আমরা ধরে নিতে পারি যে, আপনি মৃত্যু সনদ কিভাবে করব এবং মৃত্যু সনদ ডাউনলোড কিভাবে করবো এই দুইটি বিষয়ে জানতে চাচ্ছেন। যদি জানতে চেয়ে থাকেন তাহলে আপনি একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন। কেননা আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচ্য বিষয় হলো মৃত্যু সনদ কিভাবে করব এবং মৃত্যু সনদ ডাউনলোড কিভাবে করবো। তাহলে আর দেরি কেন! ঝটপট সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে নিয়ে মৃত্যু সনদ কিভাবে করব এবং মৃত্যু সনদ ডাউনলোড কিভাবে করবো সেই সম্পর্কে জেনে নিন।
মৃত্যু সনদ কিভাবে করব । মৃত্যু সনদ ডাউনলোডঃ ভূমিকা
আমাদের দেশের সরকার কর্তৃক সাধারণ জনগণের প্রতি জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করার জন্য উদ্বুদ্ধ ও গুরুত্বারোপ করা হলেও মৃত্যু সনদ তৈরি করার প্রতি জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য সরকারিভাবে তেমন কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় না। যার ফলে এখনো আমাদের দেশের বহু নাগরিক এই বিষয়টি থেকে অনবগত রয়েছে যে, মৃত্যু সনদ কিভাবে করা যায় এবং মৃত্যু সনদ কিভাবে ডাউনলোড করা যায়।
যার ফলশ্রুতিতে এই ধরনের মানুষগুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে জানার চেষ্টা করে থাকে যে, মৃত্যু সনদ কিভাবে করব এবং মৃত্যু সনদ ডাউনলোড কিভাবে করবো। আর এই ধরনের মানুষগুলোর মৃত্যু নিবন্ধন সনদ সম্পর্কে জানার আগ্রহের বিষয়টা সম্পূর্ণভাবে জায়েজ এবং প্রয়োজনীয়ও বটে। কেননা যেকোন ধরণের অফিশিয়াল এবং রাষ্ট্রীয় কার্যকলাপে যেমন জন্ম নিবন্ধন সনদ বিশেষ গুরুত্ব ও অবদান রাখে তেমনি কিছুটা ভিন্ন প্রেক্ষাপটে হলেও মানুষের মৃত্যুর পর মৃত্যু নিবন্ধন সনদও বিশেষ গুরুত্ব ও অবদান রাখে।
আরো পড়ুনঃ জন্ম নিবন্ধন অনলাইন চেক করার নিয়ম - জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি ডাউনলোড করার নিয়ম
এখন হয়তো স্বাভাবিক ভাবেই আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, মৃত্যু সনদ তৈরি করা কেন এত গুরুত্বপূর্ণ বা মৃত্যু সনদ তৈরির পেছনের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন প্রেক্ষাপট গুলো আসলে কি কি। যদি আপনার মনে এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই কেননা আমাদের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে আপনি এই সমস্ত সকল প্রশ্নের উত্তর বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ পেয়ে যাবেন।
যেহেতু আমাদের আজকের আলোচনার মূল বিষয় হলো মৃত্যু সনদ কিভাবে করব এবং মৃত্যু সনদ ডাউনলোড করার নিয়ম কি তাই আমরা আমাদের আর্টিকেলে এই দুটি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত ভাবে অবশ্যই আলোচনা করব। কিন্তু এর পূর্বে আমাদের জেনে নেওয়া প্রয়োজন যে, কি ধরনের কাজে মৃত্যু নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন হয় এবং মৃত্যু সনদ করতে কি কি লাগে।
যেসব কাজে মৃত্যু নিবন্ধন সনদ দরকার হয়
যেসব কাজে মৃত্যু নিবন্ধন সনদ দরকার হয় এই ধরনের কাজের তালিকা অত্যন্ত বিশাল হওয়ায় সব ধরনের কাজের বর্ণনা আমাদের আজকের আর্টিকেলের মধ্যে দেওয়া সম্ভব না হলেও কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজের বর্ণনা আমরা অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেলের মধ্যে উল্লেখ করেছি যাতে করে আপনি প্রাথমিকভাবে স্বচ্ছ ধারনা পেতে পারেন যে, কি ধরনের কাজে মৃত্যু সনদ প্রয়োজন হয়। চলুন তাহলে নিম্নের অংশ থেকে যেসব কাজে মৃত্যু নিবন্ধন সনদ দরকার হয় তা বিস্তারিত ভাবে জেনে নেই।
ওয়ারিশ হিসেবে মৃতব্যক্তির সম্পত্তির মালিকানা পেতে
বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী একজন ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তির ওপর তার ওয়ারিশ বা উত্তরসূরি কর্তৃক পূর্ণাঙ্গভাবে মালিকানা প্রাপ্তির জন্য উক্ত মৃতব্যক্তির মৃত্যু নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন হয়। যাতে করে মৃত্যু নিবন্ধন সনদ দ্বারা এই বিষয়টা স্পষ্ট হতে পারে বা প্রমাণিত হতে পারে যে, যেই ব্যক্তির ওয়ারিশ বা উত্তরসূরীগণ তার স্থায়ী এবং অস্থায়ী সম্পত্তির ওপর দাবি জানাচ্ছে সেই ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে মৃত্যুবরণ করেছে।
মৃতব্যক্তির ব্যাংকে জমাকৃত অর্থ পেতে হলে
কোন মৃতব্যক্তির যদি ইতিমধ্যেই কোন ব্যাংকে জমাকৃত অর্থ থেকে থাকে তবে সেই অর্থের মালিকানা প্রাপ্তির জন্য উক্ত ব্যক্তির মৃত্যুর পর মৃত্যু নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন হয়ে থাকে।অর্থাৎ, মৃতব্যক্তির ব্যাংক একাউন্টের নমিনী কর্তৃক যদি এই ধরনের মৃত্যু নিবন্ধন সনদ ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হয় তবে সেই নমিনী কখনোই ব্যাংকে জমাকৃত অর্থের মালিকানা লাভ করতে পারবে না। সেজন্যই মূলত মৃতব্যক্তির ব্যাংকে জমাকৃত অর্থের মালিকানা মৃতব্যক্তির নমিনী কর্তৃক প্রাপ্ত হতে হলে অবশ্যই মৃতব্যক্তির মৃত্যু নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন হয়।
মৃতব্যক্তির লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর অর্থ পেতে হলে
যদি মৃত ব্যক্তির নামে লাইফ ইন্সুরেন্স করা থাকে তাহলে বীমা কোম্পানির নিকট হতে লাইফ ইন্সুরেন্স এর অর্থ প্রাপ্তির জন্য উক্ত ব্যক্তির মৃত্যু নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন হয়। কেননা মৃত্যু নিবন্ধন সনদ হলো কোন ব্যক্তির মৃত্যুর প্রমাণ হিসেবে এক ধরনের প্রামাণ্য দলিল।
মৃতব্যক্তি যদি চাকুরীজীবি হয় তবে তার পেনশনের টাকা পেতে হলে
যদি বিষয়টা এমন হয় যে, মৃতব্যক্তি তার জীবনদশায় কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে চাকরিরত অবস্থায় ছিল কিংবা চাকরির পরবর্তী সময়ে পেনশনের টাকা মাসিক কিস্তিতে পাচ্ছিল তাহলে এমতাবস্থায় উক্ত অর্থের ওপর দাবি প্রদর্শনের জন্য মৃতব্যক্তির উত্তরসূরিদের ক্ষেত্রে মৃত্যু নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন হয়।
মৃতব্যক্তির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির মালিকানা পেতে হলে
মৃতব্যক্তির মালিকানাধীন কোন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির মালিকানায় নিজের নামে রেকর্ড তৈরি করতে হলে বা নিজের নামে বৈধভাবে সম্পদের মালিকানা হস্তান্তর করতে হলে অবশ্যই মৃতব্যক্তির মৃত্যুর পরবর্তী সময়ে মৃত্যু নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন হয়।
দেশের জনসংখ্যার পরিবর্তনের গতি জানার জন্য
ইতিমধ্যেই আমরা ওপরের অংশের আলোচনায় উল্লেখ করেছিলাম যে, আমাদের দেশের সরকার কর্তৃক জনগণের উদ্দেশ্যে কেবলমাত্র জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করার জন্য গুরুত্বারোপ করা হলেও এখন পর্যন্ত মৃত্যু নিবন্ধন সনদ তৈরি করার জন্য কোন রকম গুরুত্বারোপ করা হয় না। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে একটি দেশের জনসংখ্যার পরিবর্তনের হার নির্ণয়ের জন্য যেমন জন্ম নিবন্ধন সনদের প্রয়োজন হয় তেমনি এর পাশাপাশি মৃত্যু নিবন্ধন সনদেরও প্রয়োজন হয়।
আরো পড়ুনঃ জন্ম তারিখ সংশোধন করার নিয়ম- জেনে নিন
কেননা জন্ম নিবন্ধন সনদের মাধ্যমে যেমন আমরা একটি দেশে জন্মগ্রহণকারী মানুষের সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারি তেমনি মৃত্যু নিবন্ধন সনদের মাধ্যমে আমরা একটি দেশে মৃত্যুবরণকারী মানুষের সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারি। আর যেহেতু আমাদের দেশে আদমশুমারি প্রতি ১০ বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয় তাই এই ধরনের জন্ম-মৃত্যুর তথ্য পেতে হলে আমাদেরকে প্রায় ১০ বছর সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয়।
কিন্তু একটি দেশের প্রতিনিয়ত অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার জন্য এক বছর পর পর দেশের জনসংখ্যার সঠিক পরিমাণ জানা সরকারের জন্য অত্যন্ত জরুরী। তাই জন্ম নিবন্ধন সনদের পাশাপাশি মৃত্যু নিবন্ধন সনদের মাধ্যমে সরকারকে এই ধরনের সঠিক তথ্য প্রদান করতে মৃত্যু নিবন্ধন সনদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
সরকার কর্তৃক বাজেট প্রণয়নের জন্য
একটি দেশে প্রায় প্রতি বছর নতুন নতুন বাজেট প্রণয়ন করা হয়। যার মধ্যে দেশের জনগণের ওপর ভিত্তি করে জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী মজুদ থেকে শুরু করে অন্যান্য বিভিন্ন প্রয়োজনীয় চাহিদার সুষ্ঠ বাজেট প্রণয়ন করা হয়। আর এরজন্য বর্তমানে দেশে মোট জনগণের সংখ্যা কত সেই বিষয়ে সঠিক তথ্য প্রাপ্তির জন্য মৃত্যু নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন হয়।
বিভিন্ন অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য
বছরের যেকোনো সময় ধাপে ধাপে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য দেশের জনগণের গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে সঠিক ধারণা প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে মৃত্যু নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন হয়।
আশা করছি আপনারা এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন যে, কি ধরনের কাজের জন্য মৃত্যু নিবন্ধন সনদ তৈরি করা আমাদের জন্য এতটা গুরুত্বপূর্ণ। এবার তাহলে চলুন মৃত্যু সনদ করতে কি কি লাগে সেই সম্পর্কে আপনাদেরকে অবহিত করা যাক।
মৃত্যু সনদ করতে কি কি লাগে
আমাদের মধ্যে যারা নতুন মৃত্যু নিবন্ধন সনদ করতে যায় তাদের জন্য এই বিষয়টা জানা অত্যন্ত জরুরী যে মৃত্যু সনদ করতে কি কি লাগে বা কি ধরনের কাগজ-পত্রের প্রয়োজন হয়। আর এই সমস্ত মানুষদের জন্য আমরা নিম্নে মৃত্যু সনদ করতে কি কি লাগে সেই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলো সুন্দর ভাবে উল্লেখ করেছি। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক এই পয়েন্ট গুলো আসলে কি কি।
- মৃতব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন সনদের অনলাইন কপি প্রয়োজন হয়।
- মৃতব্যক্তির মৃত্যু পূর্ববর্তী সময়ের বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা।
- মৃত্যুর সময় মৃত ব্যক্তির বসবাসের ঠিকানা এবং মৃত্যুবরণ কৃত স্থানের ঠিকানা
- মৃতব্যক্তির মৃত্যুর তারিখ।
- মৃত্ব্যররক্তির মৃত্যু নিবন্ধন সনদের জন্য যিনি আবেদন করবে তার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার কিংবা জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার।
- মৃত ব্যক্তির মৃত্যু সম্পর্কিত তথ্য প্রদানকারীর জন্ম নিবন্ধন নাম্বার কিংবা জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার।
- মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর সঙ্গে সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় প্রমাণ্য দলিল।
বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রণীত আইন অনুযায়ী একজন মৃতব্যক্তির মৃত্যু সনদ তৈরি করার জন্য মূলত উপরিউক্ত জিনিসপত্র গুলোই প্রয়োজন হয়। তবে উপরে উল্লেখিত প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত মৃতব্যক্তির মৃত্যুর সঙ্গে সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় প্রমাণ্য দলিল বলতে মূলত কি ধরনের দলিলপত্রকে বোঝানো হচ্ছে সেই বিষয়টা কিছুটা ব্যাখ্যার দাবি রাখে। আর এরজন্য আমরা মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর সঙ্গে সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় প্রমাণ্য দলিল বলতে আসলে কি ধরনের দলিলপত্রকে বোঝাচ্ছে তা নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেছি।
- প্রথমেই মৃতব্যাক্তি যদি ইসলাম ধর্মের হয়ে থাকে তাহলে মৃতব্যক্তির মৃত্যুর জানাজা সম্পন্নকারী ইমাম সাহেবের নিকট থেকে মৃত্যু সম্পর্কিত প্রত্যয়ন পত্র প্রয়োজন হয়।আর যদি মৃত ব্যক্তি অন্য ধর্মের হয়ে থাকে তাহলে মৃত ব্যক্তির সৎকারের কার্যাবলীর সঙ্গে সংযুক্ত থাকা পুরোহিতের নিকট হতে মৃত্যু সম্পর্কিত প্রত্যয়ন পত্র প্রয়োজন হয়।
- যদি কোন ব্যক্তির মৃত্যু কোন অস্বাভাবিক ঘটনার কারণে ঘটে থাকে তাহলে মৃতব্যক্তির মৃত্যু নিবন্ধন সনদ তৈরি করার জন্য মৃতব্যক্তির ময়না তদন্তের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সকল প্রকার প্রমাণ্য দলিলের প্রয়োজন হয়। আর এই সমস্ত প্রমাণ্য দলিল অবশ্যই সত্যায়িত প্রামাণ্য দলিল হতে হবে।
- মৃতব্যক্তিকে কবরস্থানে দাফন করার কাজের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত রশিদ কিংবা সৎকার কার্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত রশিদ।
- আর মৃতব্যক্তির মৃত্যু সনদ তৈরীর জন্য সর্বশেষ প্রয়োজন হয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য কর্তৃক মৃত্যু সম্পর্কিত প্রত্যয়ন পত্র কিংবা পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর কর্তৃক প্রদত্ত মৃত্যু সম্পর্কিত প্রত্যয়ন পত্র। আর ক্যান্টনমেন্ট এলাকার ক্ষেত্রে ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার কর্তৃক প্রদত্ত মৃত্যু সম্পর্কিত প্রত্যয়ন পত্র প্রয়োজন হয়।
মৃত্যু সনদ ফি কত । মৃত্যু নিবন্ধন ফি কত
আমাদের দেশে যেমন জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করার জন্য আমাদেরকে প্রাথমিকভাবে একটা ফি পরিশোধ করতে হয় তেমনি মৃত্যু নিবন্ধন সনদের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি পরিশোধ করতে হয়। তাই যারা নতুন মৃত্যু নিবন্ধন সনদ তৈরি করার কথা ভাবছেন তাদের জন্য এই বিষয়টা জানা অত্যন্ত জরুরী যে, নতুন মৃত্যু সনদ ফি কত বা মৃত্যু নিবন্ধন ফি কত?
যদি কোন ব্যক্তির মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যেই উক্ত ব্যক্তির মৃত্যু নিবন্ধন সনদ তৈরি করা হয় তাহলে সেক্ষেত্রে কোন ধরনের মৃত্যু নিবন্ধন ফি প্রদান করতে হয় না। কিন্তু যদি কোন ব্যক্তির মৃত্যুর ৪৫ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর পরবর্তী ৫ বছর সময়ের মধ্যে মৃত্যু নিবন্ধন তৈরি করা হয় তবে সেক্ষেত্রে মৃত্যু নিবন্ধন ফি বাবদ ২৫ টাকা প্রদান করতে হয়।
আরো পড়ুনঃ ভোটার আইডি কার্ড চেক 2022 - ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড
আর যদি কোন ব্যক্তির মৃত্যুর ১০ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর মৃত্যু নিবন্ধন সনদ তৈরি করা হয় তবে সেক্ষেত্রে মৃত্যু নিবন্ধন ফি বাবদ ৫০ টাকা প্রদান করতে হয়। আশা করছি আপনি এতক্ষণে নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন যে, মৃত্যু সনদ ফি কত বা মৃত্যু নিবন্ধন ফি কত।এবার তাহলে চলুন আমাদের আজকের আলোচনার মূল বিষয় মৃত্যু সনদ কিভাবে করব সেই সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জেনে নেওয়া যাক।
মৃত্যু সনদ কিভাবে করব
আপনারা যারা শুরু থেকে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়েছেন তারা নিশ্চয় আমাদের আর্টিকেলের টাইটেল দেখে মৃত্যু সনদ কিভাবে করব এবং মৃত্যু সনদ ডাউনলোড কিভাবে করবো এই দুইটি বিষয় সম্পর্কে জানার জন্যই আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়া শুরু করেছেন।
আর যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে আপনাদের উদ্দেশ্যে আমরা বলব মৃত্যু নিবন্ধন সনদ তৈরি করার জন্য মৃতব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন সনদের জন্ম নিবন্ধন নম্বর, মৃত ব্যক্তির জন্ম তারিখ, মৃত্যুর তারিখ, মৃত ব্যক্তির মৃত্যু স্থানের ঠিকানা, মৃত্যুর পূর্ববর্তী সময়ে মৃতব্যক্তির বসবাসরত স্থানের ঠিকানা, মৃতব্যক্তির স্থায়ী ঠিকানা এবং মৃত্যু নিবন্ধন সনদের জন্য আবেদনকারীর জন্ম নিবন্ধন নম্বর অথবা জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর সহ মৃতব্যক্তির মৃত্যুর সম্বন্ধীয় প্রয়োজনীয় দলিলপত্রাদি সহ অনলাইনে আবেদন করার মাধ্যমে মৃত্যু নিবন্ধন সনদ তৈরি করা যায়।
আর মৃত্যু নিবন্ধন সনদের জন্য অনলাইনে আবেদন করার পর আবেদনের কপি প্রিন্ট করে নিয়ে প্রয়োজনীয় মৃত্যু সম্বন্ধীয় প্রামাণ্য দলিলপত্র মৃতব্যক্তির ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর অফিসে জমা দিলেই নির্ধারিত সময় পরে মৃত্যু নিবন্ধন সনদ পাওয়া যায়। এখন আপনার মনে যদি প্রশ্ন জেগে থাকে যে, আপনি কিভাবে মৃত্যু সনদ অনলাইনে আবেদন করবেন কিংবা মৃত্যু সনদ অনলাইনে আবেদনের নিয়ম কি তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই। কেননা এই সমস্ত আলোচনা আমরা আমাদের এই আর্টিকেলের নিম্নের অংশে সবিস্তারে উপস্থাপন করেছি।
সুতরাং আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলের মধ্যে উল্লেখিত মৃত্যু সনদ অনলাইন আবেদন এর নিয়ম এবং মৃত্যু নিবন্ধন আবেদন ফরম ডাউনলোড pdf সম্পর্কিত আলোচনাটুকু ভালোভাবে পড়ে নেন তাহলে আপনি আপনার মনে জাগ্রত হওয়া এই প্রশ্নটির উত্তর সঠিক ব্যাখ্যাসহ পেয়ে যাবেন।
মৃত্যু সনদ কোথায় পাওয়া যায়
আপনাদের মধ্যে অনেকেই মৃত্যু নিবন্ধন সনদ সম্পর্কিত একটি কমন প্রশ্ন প্রায়ই করে থাকে যেটা হলো মৃত্যু সনদ কোথায় পাওয়া যায়। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আমাদের এই আর্টিকেলের মধ্যে আমরা এই প্রশ্নটি উত্তরও আপনাদেরকে দিব।
বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য মৃত্যু নিবন্ধন সনদ অনলাইনে আবেদন করার পাশাপাশি ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা কিংবা সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর রেজিস্ট্রার অফিসে গিয়ে সরাসরি মৃত্যু নিবন্ধন সনদের জন্য আবেদন করার মাধ্যমেও মৃত্যু নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করা যায়। আর আপনি যদি মৃত্যু নিবন্ধন সনদের জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে থাকেন তবে সেক্ষেত্রে আপনার আবেদনকৃত মৃত্যু নিবন্ধন সনদটি পাওয়ার জন্য আপনাকে অনলাইন আবেদনের কপিটি প্রিন্ট করে নিয়ে প্রয়োজনীয় মৃত্যু সম্বন্ধীয় প্রামাণ্য দলিলপত্রাদি সহকারে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর রেজিস্ট্রার অফিসে গিয়ে জমা দিতে হবে।
এরপর একটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপনাকে মৃত্যু নিবন্ধন সনদ প্রদান করা হবে।এছাড়াও আপনি যদি বিদেশে অবস্থানরত অবস্থায় আপনার কোন আত্মীয় কিংবা পরিবারের সদস্যের মৃত্যু নিবন্ধন সনদ পেতে চান তবে সেক্ষেত্রে আপনি বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসে গিয়ে মৃত্যু নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করতে পারবেন।
মৃত্যু সনদ অনলাইন আবেদন এর নিয়ম । মৃত্যু নিবন্ধন আবেদন ফরম ডাউনলোড pdf
অনলাইনে মৃত্যু নিবন্ধন সনদ প্রাপ্তির জন্য প্রথমেই আপনাকে bdris এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। আপনি যাতে সরাসরি কোনো প্রকার বিঘ্ন সৃষ্টি হওয়া ছাড়াই bdris এর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারেন সেজন্য এই লিঙ্কের ওপর চাপ দিয়ে সরাসরি প্রবেশ করতে পারেন। এরপর মৃত্যু নিবন্ধন সনদের জন্য যাবতীয় আবেদন প্রক্রিয়া পর্যায়ক্রমিক ভাবে সম্পন্ন করার জন্য আপনি নিম্নের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
মৃত্যু সনদ অনলাইন আবেদন এর নিয়মঃ ধাপ-০১
উপরে প্রদত্ত bdris এর ওয়েবসাইটের লিঙ্কের মধ্যে প্রবেশ করার আপনার সামনে যে ইন্টারফেসটি আসবে সেখান থেকে প্রথমেই আপনাকে মৃত ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন নম্বর ও জন্মতারিখ সঠিকভাবে প্রদান করার মাধ্যমে ফাঁকা ঘর গুলো পূরণ করতে হবে এবং এরপর সেখানে থাকা অনুসন্ধান বাটনে ক্লিক করে দিতে হবে। আর অনুসন্ধান বাটনে ক্লিক করলেই আপনি সেখানে মৃতব্যক্তির নিবন্ধন এন্ট্রির তথ্যগুলো দেখতে পাবেন। যেখান থেকে আপনাকে নির্বাচন করুন বাটনে ক্লিক করার মাধ্যমে পরবর্তী ধাপে পদার্পণ করতে হবে।
এখানে বর্ণিত প্রক্রিয়াগুলো যাতে আপনার বুঝতে সুবিধা হয় সেজন্য আমরা নিম্নে একটি ছবি উল্লেখ করেছি যেখানে সমস্ত প্রক্রিয়াগুলো চিহ্নিত করে দেখানো হয়েছে। তাই আপনি চাইলে নিম্নের ছবিটি ভালোভাবে দেখে নিয়ে উক্ত প্রক্রিয়াটি সফলভাবে সম্পাদন করতে পারেন।
মৃত্যু সনদ অনলাইন আবেদন এর নিয়মঃ ধাপ-০২
এরপর অনলাইনে মৃত্যু নিবন্ধন সনদের আবেদন প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপটি সফলভাবে সম্পাদিত হলে নতুন একটি ওয়েবপেজ আপনার সামনে চলে আসবে। সেখানে আপনাকে মূলত নিবন্ধন কার্যালয়ের ঠিকানা নির্বাচন করতে বলা হবে। আর সেখান থেকে আপনি যেই ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ের কিংবা পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরের কার্যালয়ের অধীনে আপনার কাঙ্খিত মৃত্যু নিবন্ধন সনদটির জন্য আবেদন করতে যাচ্ছেন সেই কার্যালয়ের ঠিকানা সমূহ যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে।
পূরণ করা হয়ে গেলে আপনি সেখানে থাকা পরবর্তী বাটনে ক্লিক করার মাধ্যমে নিম্নের ছবিতে দেখানো নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী ধাপে পদার্পন করবেন।
মৃত্যু সনদ অনলাইন আবেদন এর নিয়মঃ ধাপ-০৩
এবার আপনার সামনে নতুন একটি ইন্টারফেস ওপেন হবে। আর এই ইন্টারফেসের মধ্যে আপনাকে মৃতব্যক্তির মৃত্যুর তারিখ এবং মৃত্যুর কারণ নির্বাচন করে ফাঁকা ঘর গুলো পূরণ করতে হবে। এর পাশাপাশি আপনি চাইলে এই নতুন ইন্টারফেসের মধ্যে থাকা পরবর্তী ফাঁকা ঘরগুলোতে মৃতব্যক্তির স্বামী অথবা স্ত্রীর নাম, জন্ম নিবন্ধন নাম্বার কিংবা জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার দিয়েও ফাঁকা ঘর গুলো পূরণ করতে পারেন।
তবে নিম্নের এই ফাঁকা ঘরগুলো পূরণ করা সম্পূর্ণভাবে ঐচ্ছিক। তাই আপনি চাইলে এগুলো স্কিপ করেও যেতে পারেন। এরপর অবশ্যই পরবর্তী বাটনে ক্লিক করবেন এবং চতুর্থ ধাপে পদার্পন করবেন।
মৃত্যু সনদ অনলাইন আবেদন এর নিয়মঃ ধাপ-০৪
মৃত্যু সনদ নিবন্ধন এর জন্য চতুর্থ ধাপে আপনাকে মৃত ব্যক্তির মৃত্যুবরণ কৃত স্থানের ঠিকানা এবং মৃত্যুর পূর্ববর্তী সময়ে মৃত ব্যক্তি যেই ঠিকানায় বসবাস করতেন সেই ঠিকানা দিয়ে যাবতীয় ফাঁকা ঘর গুলো সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। আর এরপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে চলে যেতে হবে।
মৃত্যু সনদ অনলাইন আবেদন এর নিয়মঃ ধাপ-০৫
মৃত্যু সনদ অনলাইনে আবেদন করার পঞ্চম ধাপে মূলত আবেদনকারীর নাম, ঠিকানা মোবাইল নাম্বার, জন্ম নিবন্ধন নাম্বার কিংবা জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার এবং মৃত ব্যক্তির সঙ্গে আবেদনকারীর সম্পর্কের যথাযথ তথ্য দিয়ে যাবতীয় ফাঁকা ঘর গুলো সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। আর সেইসঙ্গে মৃতব্যক্তির মৃত্যু নিবন্ধন সনদ প্রাপ্তির জন্য আবেদনকারী ব্যতীত দ্বিতীয় আরেকজন ব্যক্তির এই সমস্ত তথ্য গুলো প্রদান করতে হবে। এখানে দ্বিতীয় ব্যক্তিকে তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করা হয়।
মৃত্যু সনদ অনলাইন আবেদন এর নিয়মঃ ধাপ-০৬
এখন সবশেষে আপনার যদি উপরিউক্ত সমস্ত তথ্য গুলো সঠিকভাবে প্রদান করা সম্পন্ন হয়ে থাকে তাহলে আবেদন ফরম সাবমিট করার পূর্বে প্রদত্ত তথ্যগুলো ঠিক আছে কিনা এই বিষয়টি আপনি আরেকবার ভালোভাবে চেক করে নিবেন এবং চেক করার পর সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আপনি সাবমিট বাটনে ক্লিক করে সাবমিট করে দিবেন। সাবমিট করা হলেই আপনার কাঙ্খিত মৃত্যু নিবন্ধন সনদ তৈরীর জন্য অনলাইনে আবেদন করার সমস্ত প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পাদিত হয়ে যাবে।
আরো পড়ুনঃ ভিসা কিভাবে করতে হয়- ভিসা করতে কি কি লাগে-ভিসা করতে কত টাকা লাগে জেনে নিন
এছাড়াও সাবমিট বাটনে ক্লিক করার পর আপনার সামনে থাকা ওয়েবপেজটির মধ্যে একটি অ্যাপ্লিকেশন আইডি শো করবে। যেটা আপনাকে অবশ্যই খাতায় লিখে নোট করে নিতে হবে কিংবা স্ক্রিনশট নিয়ে রাখতে হবে। কেননা এই আইডি নাম্বারটি পরবর্তীতে আপনার কাজে দিবে। এখন আপনি চাইলে এই মৃত্যু নিবন্ধন সনদের আবেদন কপিটি সেভ টু পিডিএফ অপশনের মাধ্যমে পিডিএফ ফাইল হিসেবে আপনার কম্পিউটারে সেভ করে রাখতে পারেন কিংবা কম্পিউটারের সঙ্গে যদি কোন সচল প্রিন্টার সংযুক্ত থাকে তাহলে আবেদনের এই কপিটি প্রিন্ট করেও নিতে পারেন।
এক্ষেত্রে আমরা বলব যে, আপনি অবশ্যই আবেদনের কপিটি পিডিএফ ফাইল হিসেবে সেভ করে নিবেন এবং এর পাশাপাশি আবেদনের কপিটি অবশ্যই প্রিন্ট করে নিবেন কেননা পরবর্তীতে আপনাকে ইউনিয়ন পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন কিংবা পৌরসভার কাউন্সিলরের কার্যালয়ে গিয়ে উক্ত আবেদনের প্রিন্ট করা কপিটি সহ মৃতব্যক্তির মৃত্যু সম্বন্ধীয় প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি জমা দিতে হবে। তারপর উক্ত কার্যালয় থেকে যদি মৃত্যু নিবন্ধন এর এই আবেদনটি অনুমোদন করা হয় তবেই আপনি আপনার কাঙ্খিত মৃত্যু নিবন্ধন সনদটি চূড়ান্তভাবে আপনার হাতে পাবেন।
মৃত্যু সনদ ডাউনলোড
মৃত্যু নিবন্ধন সনদের জন্য আবেদন করার পরবর্তী সময়ে যদি আপনার মৃত্যু নিবন্ধন সনদের আবেদন পত্রটি ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় কিংবা পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরের কার্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত করা হয় তাহলে কেবল তখনই আপনি মৃত্যু নিবন্ধন সনদটি আপনার হাতে পাবেন তার আগে নয়।
এখন যদি আপনি ইতিমধ্যেই মৃত্যু নিবন্ধন সনদ প্রাপ্তির জন্য আবেদন করে থাকেন এবং আপনার আবেদনটি ইতিমধ্যেই অনুমোদিত হয়ে থাকে তাহলে অনলাইন থেকে মৃত্যু নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড করার জন্য প্রথমেই আপনাকে https://everify.bdris.gov.bd/ এর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর সামনে আসা ওয়েবপেজটির মধ্যে থেকে ডান পাশে থাকা ক্লিক হেয়ার টু ভেরিফাই ডেথ রেকর্ড (Click here to verify death record) অপশনটিতে ক্লিক করে নিতে হবে।
এখন আপনার সামনে নতুন আরেকটি ওয়েবেপেজ চলে আসবে যেখানে আপনি মূলত কয়েকটি ফাঁকা ঘর দেখতে পাবেন। এই ফাঁকা ঘর গুলোতে আপনাকে পর্যায়ক্রমিকভাবে মৃত ব্যক্তির ১৭ ডিজিটের মৃত্যু নিবন্ধন নম্বর, মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর তারিখ এবং ক্যাপচার গাণিতিক ফলাফলটি ইংরেজিতে সঠিকভাবে প্রদান করার পর সেখানে থাকা সার্চ অপশনে ক্লিক করতে হবে। ঠিক যেমনটা নিম্নের ছবিতে দেখানো হয়েছে।
এবার যদি আপনি এই সকল তথ্যাদি সঠিকভাবে প্রদান করতে সফল হয়ে থাকেন তাহলে আপনি আপনার সামনে মৃত ব্যক্তির তথ্য সম্বলিত নতুন একটি ওয়েবপেজ দেখতে পারবেন। এরপর যদি আপনি আপনার কম্পিউটারের কিবোর্ড থেকে একসঙ্গে Ctrl এবং P চাপ দেন তাহলে আপনি উক্ত মৃত্যু নিবন্ধন সনদপত্রটি প্রিন্ট করার অপশন, ডাউনলোড করার অপশন এবং পিডিএফ ফাইল হিসেবে সেভ করার অপশন দেখতে পারবেন। এখান থেকে যদি আপনি ডাউনলোড অপশনটিকে সিলেক্ট করে নেন তাহলেই আপনার মৃত্যু নিবন্ধন সনদপত্রটি সফলভাবে ডাউনলোড হয়ে যাবে।
মৃত্যু সনদ কিভাবে করব । মৃত্যু সনদ ডাউনলোডঃ শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আমরা আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে মৃত্যু সনদ কিভাবে করব, মৃত্যু সনদ ডাউনলোড কিভাবে করবো, যেসব কাজে মৃত্যু নিবন্ধন সনদ দরকার হয়, মৃত্যু সনদ করতে কি কি লাগে, মৃত্যু সনদ ফি কত বা মৃত্যু নিবন্ধন ফি কত, মৃত্যু সনদ কোথায় পাওয়া যায়, মৃত্যু সনদ অনলাইন আবেদন এর নিয়ম, মৃত্যু নিবন্ধন আবেদন ফরম ডাউনলোড pdf ইত্যাদি বিষয়াবলী সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানানোর চেষ্টা করেছি।
আশা করছি এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আপনি যদি পরবর্তীতেও এই রকম নতুন নতুন তথ্য সম্বলিত পোস্ট পড়তে চান বা নতুন কিছু জানতে চান তাহলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ।
0 মন্তব্যসমূহ