রমজান মাস এসে গেছে। প্রতিটি মুসলিম এর জন্য রোজা রাখা ফরজ। রোজা রাখতে গেলে রোজা ভঙ্গের কারণ জানা আবশ্যক। নয়তো, আমাদের অনিচ্ছায় রোজা ভেঙ্গে যাবে কিন্তু আমরা জানতেই পারবো না। একটি রোজার মূল্য রয়েছে অনেক। একজন মানুষ সারাদিন পানাহার, স্ত্রী সঙ্গম সহ অনেক কিছু থেকে নিজেকে বিরত রাখার পর যদি তার অনিচ্ছায় রোজা ভেঙ্গে যায়, তবে এটা একটু কষ্টের বটে। এই পোস্টে আমি রোজা ভেঙ্গে যাওয়ার কারণ সমূহ কি কি সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত কথা বলার চেষ্টা করবো।
ইসলামের ৫টি স্তম্ভের মাঝে রোজা একটি ফরজ ইবাদত। সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সব ধরণের পানাহার, ইন্দ্রিয় তৃপ্তি এবং স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকাই হচ্ছে রোজা। রোযা থাকাকালীন সময়ে আমরা অনেক সময় ভুল করে কিছু খেয়ে ফেলা সহ অনেক কাজ করে ফেলি যা করলে আমাদের রোজা ভেঙ্গে যাবে। তাই, রোজা রাখতে হলে আমাদের সর্বদা সতর্ক থাকতে হয়, নয়তো আমাদের রোজা ভেঙ্গে যাবে।
তো চলুন রোজা ভঙ্গের সকল কারণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ
রোজা ভঙ্গের কারণ |
রোজা ভঙ্গের অনেক কারণ রয়েছে। এর মাঝে প্রধানত ৩টি কারণে রোজা ভেঙ্গে যায়। বাকি সবগুলো রোজা ভঙ্গের কারণ এই ৩টির সাথে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে জড়িত। এই কারণ ৩টি নিচে থেকে দেখে নিন।
- কোনো কিছু খাওয়া
- কোনো পানীয় পান করা
- স্ত্রী সহবাস
যেসব কারণে আমাদের রোজা ভেঙ্গে যায়, এসব কারণকে রোজা বিনষ্টকারী বলা হয়। রোজা বিনষ্টকারী সাধারণত ২প্রকার। একটি হচ্ছে শরীরে প্রবেশ করার মাধ্যমে অন্যটি হচ্ছে শরীর থেকে নির্গত হওয়ার মাধ্যমে। নিম্নে আমি ২টি রোজা বিনষ্টকারী বিষয় নিয়েই বিস্তারিত কথা বলবো।
শরীর থেকে নির্গত হয়ে রোজা ভেঙ্গে যাওয়া
আমাদের শরীর থেকে কিছু নির্গত হওয়ার সাথে এই বিষয়টি সম্পর্কিত। যেমন- সহবাস, হায়েয ও শিঙ্গা লাগানো, ইচ্ছাকৃত বমি করা ইত্যাদি। আমাদের শরীর থেকে এসব জিনিস নির্গত হওয়ার কারণে আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। এ কারণে আল্লাহ তাআলা এগুলোকে রোযা ভঙ্গকারী বিষয় হিসেবে নির্ধারণ করেছেন।যাতে করে এগুলো নির্গত হওয়ার দুর্বলতা ও রোযা রাখার দুর্বলতা উভয়টি একত্রিত না হয়। এমনটি ঘটলে রোযার মাধ্যমে রোযাদার ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং রোযা ভেঙ্গে যাবে।
শরীরে প্রবেশ করানোর কারণে রোজা ভেঙ্গে যাওয়া
রোজার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পানাহার থেকে বিরত থাকা। পানাহার করলে আমাদের শরীরে বাইরের জিনিস ঢুকবে। ফলে আমাদের রোজা ভেঙ্গে যাবে। এক্ষেত্রে, সেটি পানীয় দ্রব্য হতে পারে, কিংবা অন্য কোনো খাবার জাতীয় জিনিস। ওষুধ এর ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।
রোজা বিনষ্ট হওয়ার মূল কারণগুলো আল্লাহ তায়ালা বর্ণনা করেছেন। এগুলো হচ্ছে পানাহার এবং সহবাস। এবং অন্যান্য বিষয়গুলো নবী কারিম (সা.) তার হাদিসে বর্ণনা করেছেন। রোজা বিনষ্টকারী বিষয় হচ্ছে মুলত সাতটি। এগুলো হচ্ছে :
- সহবাস
- হস্তমৈথুন
- পানাহার
- যা কিছু পানাহারের স্থলাভিষিক্ত
- শিঙ্গা লাগানো কিংবা এ জাতীয় অন্য কোন কারণে রক্ত বের করা
- ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করা
- মহিলাদের হায়েয ও নিফাসের রক্ত বের হওয়া
এখন উপরোক্ত বিষয়গুলো নিম্নে বিস্তারিত বর্ণনা করার চেষ্টা করবো।
সহবাস রোজা ভঙ্গের কারণ
রোজা ভঙ্গের সবথেকে বড় কারণ হচ্ছে সহবাস। এতে করে যেমন আমাদের রোজা ভেঙ্গে যায়, ঠিক তেমনি গুনাহ হয়। যদি কোনো ব্যাক্তি রমজান মাসে দিনের বেলা ইচ্ছাকৃতভাবে স্ত্রী সহবাস করে, অর্থাৎ দুই খতনার মিলন ঘটাবে এবং পুরুষের গোপনাঙ্গের অগ্রভাগ তার স্ত্রীর যৌনাঙ্গে প্রবেশ করবে , চাহে তার বীর্যপাত হোক কিংবা না হোক, তবে রোজা ভেঙ্গে যাবে। উক্ত ব্যক্তির উপর তাওবা করা, উক্ত দিনের রোজা কাযা আদায় করা এবং কঠিন কাফফারা আদায় করা ফরয।
উক্ত হাদিসটির দলিল হচ্ছে - এর দলিল হচ্ছে- আবু হুরায়রা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদিস তিনি বলেন: “এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট এসে বলল: ইয়া রাসূলুল্লাহ, আমি ধ্বংস হয়েছি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: কিসে তোমাকে ধ্বংস করল? সে বলল: আমি রমযানে (দিনের বেলা) স্ত্রীর সাথে সহবাস করে ফেলেছি। তিনি বললেন: তুমি কি একটি ক্রীতদাস আযাদ করতে পারবে? সে বলল: না। তিনি বললেন: তাহলে লাগাতার দুই মাস রোযা রাখতে পারবে? সে বলল: না। তিনি বললেন: তাহলে ষাটজন মিসকীনকে খাওয়াতে পারবে? সে বলল: না...[হাদিসটি সহিহ বুখারী (১৯৩৬) ও সহিহ মুসলিমে (১১১১) এসেছে] ।
স্ত্রী সহবাস ছাড়া অন্য কোনো কারণে রোজা ভঙ্গ হলে উক্ত ব্যক্তির জন্য কাফফারা আদায় করা ওয়াজিব হয় না।
হস্তমৈথুন অর্থ হচ্ছে হাত দিয়ে কিংবা অন্য কোনো পন্থা অবলম্বন করে বীর্যপাত করানো। হস্তমৈথুন যে একটি রোজা ভঙ্গের কারণ এর দলিল হচ্ছে- হাদিসে কুদসীতে রোযাদার সম্পর্কে আল্লাহর বাণী: “সে আমার কারণে পানাহার ও যৌনকর্ম পরিহার করে”। সুতরাং, যদি কোনো ব্যক্তি রোজা থাকা অবস্থায় হস্তমৈথুন করে তবে তার উচিত হচ্ছে তাওবা করা এবং উক্ত দিনের বাকি সময় উপবাস থাকা এবং পরবর্তীতে ঐ রোজার কাযা আদায় করা। কিন্তু, কেউ যদি রোযা থাকা অবস্থায় হস্তমৈথুন করা শুরু করে কিন্তু তার বীর্যপাত না হয়, তবে তার রোযা ভাঙ্গবে না। বীর্যপাত হলেই রোযা ভেঙ্গে যাবে। এমন যদি কারো ক্ষেত্রে হয়, তবে তার উচিত তাওবা করা।
একজন রোজাদারের উচিত সব ধরণের যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারক জিনিস এড়িয়ে চলা ও কুচিন্তা থেকে নিজের মনকে বিরত রাখা। যদি মজি বের হয়, তবে রোযা ভাঙ্গবে না। (মজি হচ্ছে, যেটি পানির মতো। মনি হচ্ছে ঘন গাড়।মনি বের হলে রোযা ভেঙ্গে যায় এবং গোসল ফরজ হয়।)
পানাহার রোজা ভেঙ্গে যাওয়ার কারণ
সব ধরণের খাবার পানাহার এর অন্তর্ভুক্ত। তরল কোনো পদার্থ পান করা কিংবা কোনো খাবার খাওয়া পানাহার এর অন্তর্ভুক্ত। আমাদের মুখ দিয়ে অথবা নাক দিয়ে যদি কোনো কিছু আমাদের পাকস্থলীতে পৌছায়, তবে এটি পানাহার এর অন্তর্গত। রোযা থাকা অবস্থায় অজু করতে গেলে সাবধানে নাকে পানি দিতে হবে। নয়তো রোযা ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে। অধিকাংশ মানুষের রোজা ভঙ্গের কারণ হচ্ছে পানাহার করা।
রাত মনে করে সুবহে সাদিকের পর সাহরি খাওয়া কিন্তু পানাহার এর সাথে সম্পর্কিত। তাই এ কারণে রোজা ভেঙ্গে যাবে। বিড়ি-সিগারেট বা হুঁকা সেবন করলে রোজা ভেঙ্গে যাবে।
পানাহার এর সাথে সম্পর্কিত
মুখ দিয়ে নয়, কিন্তু বাইরের কোনো কিছু শরীরে প্রবেশ করালে রোযা ভেঙ্গে যাবে। এর মাঝে দুইটি জিনিস অন্তর্ভুক্ত। একটি হচ্ছে ইঞ্জেকশন পুশ করে রক্ত শরীরে ঢুকানো এবং অন্যটি হচ্ছে ইঞ্জেকশন এর মাধ্যমে কোনো খাদ্য জাতীয় পদার্থ শরীরে প্রবেশ করানো। কোনো ব্যক্তি যদি অসুস্থ হয়ে যায়, তবে তার শরীরে যদি ইঞ্জেকশন এর মাধ্যমে রক্ত ঢুকানো হয়, তবে উক্ত ব্যক্তির রোযা ভেঙ্গে যাবে। ঠিক এভাবেই, কেউ যদি তার শরীরে ইঞ্জেকশন এর মাধ্যমে অন্য কোনো ওষুধ কিংবা খাবার প্রবেশ করায়, তবু তার রোযা ভেঙ্গে যাবে। এটিও একটি রোজা ভঙ্গের কারণ।
কিডনী ডায়ালাইসিস করার ক্ষেত্রে রোগীর শরীর থেকে যদি রক্ত বের করে সেই রক্ত পরিশোধন করে সঙ্গে কিছু ওষুধ ও খাদ্য উপাদান (যেমন— চিনি ও লবণ ইত্যাদি) যোগ করে পুরনায় সে রক্ত শরীরে পুশ করে ঢুকানো হয়, তবে রোযা ভেঙ্গে যাবে।[ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটির ফতোয়াসমগ্র (১০/১৯)] কানে বা নাকের ছিদ্র দিয়ে তরল ওষুধ দেওয়া হলে রোজা ভেঙ্গে যাবে।
শিঙ্গা লাগানো রোজা ভঙ্গের কারণ
কেউ যদি শিঙ্গা লাগায়, তার রোজা ভেঙ্গে যাবে। এই হাদিসের দলিল হচ্ছে— নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী: “যে ব্যক্তি শিঙ্গা লাগায় এবং যার শিঙ্গা লাগানো হয় উভয়ের রোযা ভেঙ্গে যাবে।”[সুনানে আবু দাউদ (২৩৬৭), আলবানী সহিহ আবু দাউদ গ্রন্থে (২০৪৭) হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন]
কেউ যদি রক্ত দেয়, তবে তার রোজা ভেঙ্গে যাবে। রক্ত দেয়া শিঙ্গা দেয়ার মতই। তাই, কেউ যদি রক্ত দেয়, তবে তার রোজা ভেঙ্গে যাবে এবং উক্ত রোজা কাযা আদায় করতে হবে। কোনো ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে তার শরীরের ক্ষতি করে রক্ত বের না করে, তবে তার রোজা ভাঙ্গবে না। কারণ, রক্তক্ষরণ উক্ত ব্যক্তির ইচ্ছায় হয়নি।
কারো যদি অনিচ্ছায় বমি হয়, তবে তার রোজা ভাঙ্গবে না এমন উক্ত রোজার জন্য কোনো কাযা দিতে হবে না। কিন্তু, কোনো ব্যক্তি যদি নিজের ইচ্ছায়, মুখে হাত ঢুকানো কিংবা পেট চেপে বমি করে, তবে তার রোজা ভেঙ্গে যাবে এবং উক্ত রোজার কাযা আদায় করতে হবে। এ হাদিসের দলিল হচ্ছে— “যে ব্যক্তির অনিচ্ছাকৃতভাবে বমি এসে যায় তাকে উক্ত রোযা কাযা করতে হবে না। কিন্তু, যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় বমি করলো তাকে উক্ত রোযা কাযা করতে হবে”[সুনানে তিরমিযি (৭২০), আলবানী সহিহ তিরমিযি গ্রন্থে (৫৭৭) হাদিসটিকে সহিহ আখ্যায়িত করেছেন]
কিন্তু, কেউ যদি বমি চেপে রাখলে তার শরীরের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে উক্ত ব্যক্তির বমি চেপে রাখা বাধ্যতামূলক নয়। [শাইখ উছাইমীনের মাজালিসু শাহরি রামাদান, পৃষ্ঠা-৭১]
হায়েয ও নিফাসের রক্ত নির্গত হওয়া
মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যখন মহিলাদের হায়েয হয় তখন কি তারা নামায ও রোযা ত্যাগ করে না!?”[সহিহ বুখারী (৩০৪)] এ থেকে বুঝা যায় যে, যদি কোনো মহিলা রোজা থাকা অবস্থায় তার হায়েজ শুরু হয়, তবে তার রোজা ভেঙ্গে যাবে। সূর্যাস্তের একটু আগেও যদি কোনো মহিলার হায়েজ শুরু হয়, তবে তার ঐ রোজা ভেঙ্গে যাবে এবং উক্ত রোজার কাযা আদায় করতে হবে। কিন্তু, সূর্যাস্তের আগে যদি হায়েজ বের না হয়, সূর্যাস্তের পরে বের হয়, তবে তার রোজা ভাঙ্গবে না।
রমজান মাসে যদি কোনো মহিলার হায়েজ হয়, তবে তার উচিত পরবর্তীতে উক্ত রোজার কাযা আদায় করা। কিন্তু, রমজান মাসে যেন হায়েজ না হয়, এজন্য কেউ যেন কোনো প্রকার ওষুধ বা অন্য কিছু ব্যবহার না করে। আল্লাহ তার জন্য যা নির্ধারণ করে রেখেছেন, সেটি নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা উচিত।
উপরে আমি যেসব বিষয় উল্লেখ করেছি, এগুলো হচ্ছে রোজা ভঙ্গের কারণ। কিন্তু, এখানে হায়েয ও নিফাস ছাড়া যে বিষয়গুলো রয়েছে, এগুলোর মাধ্যমে রোজা ভেঙ্গে যায়, কিন্তু ভেঙ্গে যাওয়ার পূর্বে ৩টি শর্ত পূরণ হতে হবে। তবেই, উক্ত বিষয়গুলো দ্বারা রোজা ভেঙ্গে যাবে। শর্ত ৩টি নিম্নরুপ :
- এ ব্যাপারে উক্ত ব্যক্তি যেনো অজ্ঞ না হয়।
- তার স্মরণে থাকা।
- জোর-জবরদস্তির স্বীকার না হয়ে স্বেচ্ছায় তাতে লিপ্ত হওয়া।
উপরোক্ত শর্ত ৩টি যদি কোনো রোজা ভঙ্গের কারণ এর সাথে সম্পর্কিত হয়, অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে যদি রোজা ভঙ্গের কারণগুলোর শর্ত ৩টি প্রযোজ্য হয়, তবেই তার রোজা ভেঙ্গে যাবে। এগুলোই হচ্ছে মূলত রোজা ভঙ্গের কারণ।
শেষ কথা
আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে রোজা ভঙ্গের কারণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি, এই পোস্ট থেকে রোজা ভঙ্গের কারণসমূহ কি কি জানতে পেরেছেন। পবিত্র রমজান মাসের রোজা সঠিকভাবে রাখতে হলে আমাদের রোজা ভঙ্গের কারণ জানা জরুরি। রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ এবং ৭টি মূল কারণ পোস্টটি সম্পর্কে মতামত জানাতে ভুলবেন না। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি আল্লাহ হাফেয।
0 মন্তব্যসমূহ