আমাদের আজকের পোস্টের আলোচ্য বিষয় হলো ওযুর ফরজ কয়টি ও কি কি। আপনি যদি ওযুর ফরজ কয়টি ও কি কি তা জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কেননা আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করব ওযুর ফরজ কয়টি ও কি কি নিয়ে।
এই পোস্টে ওযুর ফরজ কয়টি ও কি কি ছাড়াও আরো জানতে পারবেন ওযু কি বা ওযু কাকে বলে? ওযু ইংরেজি কি? ওযুর গুরুত্ব কি, ওযু কিভাবে করতে হয়? ওযুর নিয়ত, অযুর দোয়া, অজুর শেষের দোয়া, ওযুর সুন্নত কয়টি ও কি কি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকবেন।
প্রথমে আমরা আলোচনা করব ওযু কি বা ওযু কাকে বলে সেই সম্পর্কে।
এই পোস্টে ওযুর ফরজ কয়টি ও কি কি ছাড়াও আরো জানতে পারবেন ওযু কি বা ওযু কাকে বলে? ওযু ইংরেজি কি? ওযুর গুরুত্ব কি, ওযু কিভাবে করতে হয়? ওযুর নিয়ত, অযুর দোয়া, অজুর শেষের দোয়া, ওযুর সুন্নত কয়টি ও কি কি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকবেন।
ওযুর ফরজ কয়টি ও কি কি ?
প্রথমে আমরা আলোচনা করব ওযু কি বা ওযু কাকে বলে সেই সম্পর্কে।
ওযু কি বা ওযু কাকে বলে ?
ওযু হলো আরবি শব্দ। পাক-পবিত্রতা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম হলো ওযু। প্রায় সব ধরণের ইবাদতের জন্য ওযু করা ফরজ। তাছাড়া সর্বদাই অজু অবস্থায় থাকা আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ) এর সুন্নাতও বটে। তো চলুন দেখে নিই ওযু কি বা কাকে বলে?
অযু কি বা কাকে বলে- ইসলামের বিধান অনুযায়ী পাক-পবিত্রতা অর্জনের লক্ষ্যে শরীরের নির্দিষ্ট ৪টি অঙ্গ নির্দিষ্ট নিয়মে পানি দ্বারা ধৌত করাকে অযু বা ওযু বলে। ওযু সঠিক না হলে নামাজ শুদ্ধ হয় না। তাই সঠিক নিয়মে ওযু করা আবশ্যক।
এছাড়া বলা যায়, নামাজ বা কোন পবিত্র কাজ করার আগে শরীর ও মনের পরিশুদ্ধতা জরুরি। ওযুতে ৪টি ফরজ বিদ্যমান। আপনি যদি এই ৪টি ফরজ মেনে ওযু করতে পারেন তাহলে আপনার সব ধরনের কাজ বরকতময় হবে এবং ওযুর মাধ্যমে শরীর ও মনের পবিত্রতা অর্জিত হবে।
অযু কি বা কাকে বলে- ইসলামের বিধান অনুযায়ী পাক-পবিত্রতা অর্জনের লক্ষ্যে শরীরের নির্দিষ্ট ৪টি অঙ্গ নির্দিষ্ট নিয়মে পানি দ্বারা ধৌত করাকে অযু বা ওযু বলে। ওযু সঠিক না হলে নামাজ শুদ্ধ হয় না। তাই সঠিক নিয়মে ওযু করা আবশ্যক।
এছাড়া বলা যায়, নামাজ বা কোন পবিত্র কাজ করার আগে শরীর ও মনের পরিশুদ্ধতা জরুরি। ওযুতে ৪টি ফরজ বিদ্যমান। আপনি যদি এই ৪টি ফরজ মেনে ওযু করতে পারেন তাহলে আপনার সব ধরনের কাজ বরকতময় হবে এবং ওযুর মাধ্যমে শরীর ও মনের পবিত্রতা অর্জিত হবে।
ওযু ইংরেজি কি?
পূবেই উল্লেখ করা হয়েছে যে ওযু আরবী শব্দ। অনেকেই ওযু ইংরেজী কি সেটাও জানতে চান। ওযুর ইংরেজী হলো ablution; ceremonial washing for saying prayers; according to lslam.
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আমরা জানলাম ওযু কি বা ওযু কাকে বলে এবং ওযুর ইংরেজি বা আরবি কি সেই সম্পর্কে। পরবর্তীতে আমরা জানব ওযুর গুরুত্ব কি সেই বিষয়ে।
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আমরা জানলাম ওযু কি বা ওযু কাকে বলে এবং ওযুর ইংরেজি বা আরবি কি সেই সম্পর্কে। পরবর্তীতে আমরা জানব ওযুর গুরুত্ব কি সেই বিষয়ে।
আরো পড়ুনঃ সূরা ফাতিহা বাংলা অর্থসহ
ওযুর গুরুত্ব কি?
ওযু নামাযের একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। ওযু ব্যতিত নামায সহীহ হয়না। আল্লাহ তা’আলা নামাযের জন্য অযু ফরজ করেছেন। নিন্মে ওযুর গুরুত্ব কি সেই বিষয়ে আলোকপাত করা হলোঃ
১) পবিত্র কোরআন মজিদে উল্লেখ আছে -‘নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তওবাকারীকে ভালবাসেন এবং যাহারা পবিত্র থাকে তহাদিগকেও ভালবাসেন। ’-(সূরা বাকারা,আয়াত:২২২)।
২) নামাজ পড়ার পূ্র্বে অবশ্যই ওযু করতে হয়। আল্লাহ রব্বুল আলামীন বান্দার নামাজ আদায়ের জন্য ওযুকে ফরজ করেছেন। ওযু ব্যতীত ফরজ ইবাদত করা গুনাহের কাজ।
৩) কুরআন শরীফ স্পর্শ ও পড়তে ওযু করতে হয়। পবিত্র কোরআনে আছে -‘যাহারা পূত-পবিত্র তাহারা ব্যতীত অন্য কেহ তাহা স্পর্শ করো না। ’-(সূরা ওয়াক্কিয়াহ্, আয়াত:৭৯)। দেহ ও পরিধেয় কাপড়ের পবিত্রতা আর্জনকে বলা হয় তাহারাত্। ওযু বা গোসল দ্বারা তাহারাত্ আর্জন করা যায়। হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) বলেন - ‘পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ধর্মের অর্ধেক। ’ (সহীহ মোসলিম)
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আমরা জানলাম ওযু কি, ওযুর গুরুত্ব কি সেই সম্পর্কে। চলুন এবার জেনে নিই ওযু কিভাবে করতে হয়?
১) পবিত্র কোরআন মজিদে উল্লেখ আছে -‘নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তওবাকারীকে ভালবাসেন এবং যাহারা পবিত্র থাকে তহাদিগকেও ভালবাসেন। ’-(সূরা বাকারা,আয়াত:২২২)।
২) নামাজ পড়ার পূ্র্বে অবশ্যই ওযু করতে হয়। আল্লাহ রব্বুল আলামীন বান্দার নামাজ আদায়ের জন্য ওযুকে ফরজ করেছেন। ওযু ব্যতীত ফরজ ইবাদত করা গুনাহের কাজ।
৩) কুরআন শরীফ স্পর্শ ও পড়তে ওযু করতে হয়। পবিত্র কোরআনে আছে -‘যাহারা পূত-পবিত্র তাহারা ব্যতীত অন্য কেহ তাহা স্পর্শ করো না। ’-(সূরা ওয়াক্কিয়াহ্, আয়াত:৭৯)। দেহ ও পরিধেয় কাপড়ের পবিত্রতা আর্জনকে বলা হয় তাহারাত্। ওযু বা গোসল দ্বারা তাহারাত্ আর্জন করা যায়। হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) বলেন - ‘পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ধর্মের অর্ধেক। ’ (সহীহ মোসলিম)
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আমরা জানলাম ওযু কি, ওযুর গুরুত্ব কি সেই সম্পর্কে। চলুন এবার জেনে নিই ওযু কিভাবে করতে হয়?
ওযু কিভাবে করতে হয়?
ওযু কিভাবে করতে হয় এই বিষয় টি ভালোভাবে জেনে নেওয়া খুবই জরুরি কেননা সঠিক ভাবে ওযু করতে না জানলে আসল উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। তাই ওযু কিভাবে করতে হয় তার ধারাবাহিক কাজগুলি নিন্মে উল্লেখ করা হলোঃ
১) প্রথমে ওযুর নিয়ত বা সংকল্প করতে হবে।
২) তারপর ‘বিসমিল্লাহ’ বলতে হবে।
৩) ডান হাতে পানি নিয়ে দুই হাত কব্জি পর্যন্ত ধৌত করতে হবে এবং সেই সাথে হাতের আঙ্গুলগুলো খিলাল করতে হবে। হাতে যদি আংটি থাকে তাহলে আংটির ভিতর পানি পৌঁছানোর চেষ্টা করতে হবে।
৪) ডান হাতে পানি নিয়ে গড়গড়িয়ে কুলি করতে হবে এবং নাকে পানি দিতে হবে এবং নাক ঝাড়তে হবে।
৫) কপালের গোড়া থেকে দুই কানের লতীসহ থুৎনীর নীচ পর্যন্ত সম্পূর্ণ মুখমন্ডল ধৌত করতে হবে। তারপর এক অঞ্জলি পানি নিয়ে থুৎনীর নিচে দিয়ে দাড়ি খিলাল করতে হবে।
৬) অতঃপর প্রথমে ডান ও পরে বাম হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করতে হবে।
৭) এরপর নতুন পানি নিয়ে দুই হাত দ্বারা মাথার সম্মুখ হতে পিছনে ও পিছন হতে সম্মুখে নিয়ে গিয়ে একবার পুরো মাথা মাসাহ করা। একই সঙ্গে ভিজা শাহাদাত আংগুল দ্বারা কানের ভিতর অংশে ও বুড়ো আংগুল দ্বারা কানের পিঠ মাসাহ করা।
৮) অতঃপর ডান ও বাম পায়ের টাখনুসহ ভালভাবে ধৌত করা। এ সময় বাম হাতের কনিষ্ঠা আংগুল দ্বারা পায়ের আংগুল সমূহ খিলাল করা।
৯) ওযূ শেষে বাম হাতে কিছু পানি নিয়ে লজ্জাস্থান বরাবর ছিটিয়ে দিতে হবে।
অতঃপর দু‘আ পাঠ করতে হবে। উল্লেখ্য যে, ওযূর অঙ্গগুলো এক, দুই ও তিনবার ধোয়া যায়। (তিনবার ধোয়া সুন্নত, এর অধিক ধোয়া পানির অপচয়ের কারণ এবং সুন্নতের খেলাফ, তবে অযু সমন্ধনীয় সব অঙ্গ ভালোভাবে ভিজানো জরুরি)
বন্ধুরা ওযুর কিভাবে করতে হয় তা তো জানা গেল। তো এখন চলুন জেনে নিই ওযুর নিয়ত কি?
১) প্রথমে ওযুর নিয়ত বা সংকল্প করতে হবে।
২) তারপর ‘বিসমিল্লাহ’ বলতে হবে।
৩) ডান হাতে পানি নিয়ে দুই হাত কব্জি পর্যন্ত ধৌত করতে হবে এবং সেই সাথে হাতের আঙ্গুলগুলো খিলাল করতে হবে। হাতে যদি আংটি থাকে তাহলে আংটির ভিতর পানি পৌঁছানোর চেষ্টা করতে হবে।
৪) ডান হাতে পানি নিয়ে গড়গড়িয়ে কুলি করতে হবে এবং নাকে পানি দিতে হবে এবং নাক ঝাড়তে হবে।
৫) কপালের গোড়া থেকে দুই কানের লতীসহ থুৎনীর নীচ পর্যন্ত সম্পূর্ণ মুখমন্ডল ধৌত করতে হবে। তারপর এক অঞ্জলি পানি নিয়ে থুৎনীর নিচে দিয়ে দাড়ি খিলাল করতে হবে।
৬) অতঃপর প্রথমে ডান ও পরে বাম হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করতে হবে।
৭) এরপর নতুন পানি নিয়ে দুই হাত দ্বারা মাথার সম্মুখ হতে পিছনে ও পিছন হতে সম্মুখে নিয়ে গিয়ে একবার পুরো মাথা মাসাহ করা। একই সঙ্গে ভিজা শাহাদাত আংগুল দ্বারা কানের ভিতর অংশে ও বুড়ো আংগুল দ্বারা কানের পিঠ মাসাহ করা।
৮) অতঃপর ডান ও বাম পায়ের টাখনুসহ ভালভাবে ধৌত করা। এ সময় বাম হাতের কনিষ্ঠা আংগুল দ্বারা পায়ের আংগুল সমূহ খিলাল করা।
৯) ওযূ শেষে বাম হাতে কিছু পানি নিয়ে লজ্জাস্থান বরাবর ছিটিয়ে দিতে হবে।
অতঃপর দু‘আ পাঠ করতে হবে। উল্লেখ্য যে, ওযূর অঙ্গগুলো এক, দুই ও তিনবার ধোয়া যায়। (তিনবার ধোয়া সুন্নত, এর অধিক ধোয়া পানির অপচয়ের কারণ এবং সুন্নতের খেলাফ, তবে অযু সমন্ধনীয় সব অঙ্গ ভালোভাবে ভিজানো জরুরি)
বন্ধুরা ওযুর কিভাবে করতে হয় তা তো জানা গেল। তো এখন চলুন জেনে নিই ওযুর নিয়ত কি?
আরো পড়ুনঃ দোয়া কুনুত এর ফজিলত
ওযুর নিয়ত
ওযু করার সময় ওযুর নিয়ত পড়া উচিত।
ওযুর নিয়ত: উচ্চারনঃ নাওয়াইতু আন আতাওয়াজ্জায়া লিরাফয়িল হাদাসি ওয়া ইস্তিবাহাতা লিছছালাতি ওয়া তাকাররুবান ইলাল্লাহি তা’য়ালা।
অর্থ: আমি ওযুর নিয়ত করছি যে নাপাকি দূর করার জন্য বিশুদ্ধরূপে নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্য এবং আল্লাহ তা’য়ালা।
ওযুর নিয়ত: উচ্চারনঃ নাওয়াইতু আন আতাওয়াজ্জায়া লিরাফয়িল হাদাসি ওয়া ইস্তিবাহাতা লিছছালাতি ওয়া তাকাররুবান ইলাল্লাহি তা’য়ালা।
অর্থ: আমি ওযুর নিয়ত করছি যে নাপাকি দূর করার জন্য বিশুদ্ধরূপে নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্য এবং আল্লাহ তা’য়ালা।
অযুর দোয়া
বাংলা উচ্চারণ: বিসমিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম। ওয়াল হামদুলিল্লাহি আলা দ্বীনিল ইসলাম। আল ইসলামু হাক্কুন। ওয়াল কুফরু বাতিলুন। ওয়াল ইসলামু নুরুন। ওয়াল কুফরু জুলমাত।
অর্থ: মহান ও পরাক্রান্ত আল্লাহ তায়ালার নামে আরম্ভ করছি। আমি দ্বীন ইসলামের উপর আছি। তাই আল্লাহর জন্য যাবতীয় প্রশংসা।নিশ্চই ইসলাম সত্য ও কুফুর বাতিল এবং ইসলাম আলো ও কুফুর অন্ধকার।
অর্থ: মহান ও পরাক্রান্ত আল্লাহ তায়ালার নামে আরম্ভ করছি। আমি দ্বীন ইসলামের উপর আছি। তাই আল্লাহর জন্য যাবতীয় প্রশংসা।নিশ্চই ইসলাম সত্য ও কুফুর বাতিল এবং ইসলাম আলো ও কুফুর অন্ধকার।
অজুর শেষের দোয়া
বাংলা উচ্চারণ : ‘আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।’অর্থ : ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন মা’বুদ নেই। তিনি একক, তাঁর কোন শরিক নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসুল।’ (মুসলিম, মিশকাত)
এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন,
,مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ يَتَوَضَّأُ فَيُبْلِغُ أَوْ فَيُسْبِغُ الْوَضُوءَ ثُمَّ يَقُولُ : أَشْهَدُ أَنْ لا إِلَهَ إِلا اللَّهُ وَحْدَهُ لا شَرِيكَ لَهُ ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ ، إِلا فُتِحَتْ لَهُ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ الثَّمَانِيَةُ يَدْخُلُ مِنْ أَيِّهَا شَاءَ
অর্থ: তোমাদের যে ব্যাক্তি কামিল বা পূর্ণরূপে উযূ করে এই দোয়া পাঠ করবে, ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। তিনি এক, তাঁর কোনো শরিক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মাদ (সাঃ) তাঁর গোলাম ও রাসুল।’ তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে যাবে এবং যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা সে জান্নাতের প্রবেশ করতে পারবে। (মুসলিম ২৩৪)
এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন,
,مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ يَتَوَضَّأُ فَيُبْلِغُ أَوْ فَيُسْبِغُ الْوَضُوءَ ثُمَّ يَقُولُ : أَشْهَدُ أَنْ لا إِلَهَ إِلا اللَّهُ وَحْدَهُ لا شَرِيكَ لَهُ ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ ، إِلا فُتِحَتْ لَهُ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ الثَّمَانِيَةُ يَدْخُلُ مِنْ أَيِّهَا شَاءَ
অর্থ: তোমাদের যে ব্যাক্তি কামিল বা পূর্ণরূপে উযূ করে এই দোয়া পাঠ করবে, ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। তিনি এক, তাঁর কোনো শরিক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মাদ (সাঃ) তাঁর গোলাম ও রাসুল।’ তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে যাবে এবং যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা সে জান্নাতের প্রবেশ করতে পারবে। (মুসলিম ২৩৪)
ওযুর ফরজ কয়টি ও কি কি (ojur foroj koyti o ki ki)
বন্ধুরা আমাদের আজকের পোস্টের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ওযুর ফরজ কয়টি ও কি কি? কারণ ওযুর ফরজ কাজগুলো অবশ্যই পালনীয়। এই ফরজ কাজগুলো পালন না করলে ওযু হবে না। ফলে ওযুর প্রকৃত উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। তাই ওযুর ফরজ কাজগুলো সঠিকভাবে পালন করতে হবে। এবার চলুন দেখে নেওয়া যাক ওযুর ফরজ কয়টি ও কি কি?
ওযুর ফরজ ৪টি। সেগুলো হলোঃ
১। সমস্ত মুখ ভালভাবে ধৌত করা।
২। দুই হাতের কনুইসহ ভালভাবে ধৌত করা।
৩। মাথা চার ভাগের এক ভাগ মাসেহ্ করা।
৪। দুই পায়ের টাকনুসহ ধৌত করা।
ওযুর ফরজ ৪টি। সেগুলো হলোঃ
১। সমস্ত মুখ ভালভাবে ধৌত করা।
২। দুই হাতের কনুইসহ ভালভাবে ধৌত করা।
৩। মাথা চার ভাগের এক ভাগ মাসেহ্ করা।
৪। দুই পায়ের টাকনুসহ ধৌত করা।
ওযুর ফরজ কয়টি ভিডিও
ওযুর সুন্নাত কয়টি ও কি কি
ওযুর সুন্নাত ১৪ টি। এগুলো হলো –
১৷ নিয়ত করা।
২৷ বিসমিল্লাহ বলে ওযু শুরু করা।
৩। হাতের আঙ্গুলগুলো খিলাল করা।
৪। উভয় হাত কব্জি পর্যন্ত ধৌত করা।
৫৷ মিসওয়াক করা।
৬৷ ৩ বার কুলি করা।
৭৷ নাকে পানি দেওয়া তিনবার।
৮৷ পুরো মুখমন্ডল তিনবার ধৌত করা।
৯৷ দু হাত কনুই সহ তিনবার ধোওয়া।
১০। সমস্ত মাথা একবার মাসেহ করা।
১১। উভয় পা টাখনু সহ তিনবার ধৌত করা।
১২৷ পায়ের আঙ্গুলগুলো খিলাল করা।
১৩। এক অঙ্গ শুকানোর পূর্বে অন্য অঙ্গ ধৌত করা।
ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ওযুর এই কাজ গুলো সম্পূর্ন করা হলো ওযুর সুন্নত।
১৷ নিয়ত করা।
২৷ বিসমিল্লাহ বলে ওযু শুরু করা।
৩। হাতের আঙ্গুলগুলো খিলাল করা।
৪। উভয় হাত কব্জি পর্যন্ত ধৌত করা।
৫৷ মিসওয়াক করা।
৬৷ ৩ বার কুলি করা।
৭৷ নাকে পানি দেওয়া তিনবার।
৮৷ পুরো মুখমন্ডল তিনবার ধৌত করা।
৯৷ দু হাত কনুই সহ তিনবার ধোওয়া।
১০। সমস্ত মাথা একবার মাসেহ করা।
১১। উভয় পা টাখনু সহ তিনবার ধৌত করা।
১২৷ পায়ের আঙ্গুলগুলো খিলাল করা।
১৩। এক অঙ্গ শুকানোর পূর্বে অন্য অঙ্গ ধৌত করা।
ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ওযুর এই কাজ গুলো সম্পূর্ন করা হলো ওযুর সুন্নত।
ওযুর ফরজ কয়টি ও কি কি সম্পর্কে শেষ কথা
ইসলামিক জীবন ব্যবস্থায় সকল প্রকার ইবাদত বন্দেগির পূর্ব শর্ত হলো পাক-পবিত্রতা। আর এই পাক-পবিত্রতা অর্জনের প্রধান প্রন্থা হলো ওযু। তাই সকল মুমিন মুসলিমদের উচিত ওযুর ফরজ ও সুন্নত কয়টি ও কি কি সেগুলো ভালো ভাবে জানা এবং সেই বিষয় গুলি অনুসরণ করে সবসময় অজু অবস্থায় থাকা। আল্লাহ তা’আলা মুসলিম উম্মাহকে সর্বদা ওযু অবস্থায় থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।
0 মন্তব্যসমূহ