Ticker

6/recent/ticker-posts

শবে কদরের নামাজের নিয়ম ও দোয়া ২০২৩

    আল্লাহ তায়ালা বলেন, লাইলাতুল কদর বা শবে কদরের রাত হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। আজ আমি শবে কদরের নামাজের নিয়ম ও দোয়া নিয়ে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আরবি ভাষায় ‘লাইলাতুল’ শব্দের অর্থ হলো রাত্রি বা রজনী এবং ‘কদর’ শব্দের অর্থ হচ্ছে সম্মান, মর্যাদা বা মহাসম্মান। মহান আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং নিজেই লাইলাতুল কদরের রাত্রিকে মহিমান্বিত রাত বলে আখ্যায়িত করেছেন। শবে কদরের রাত্রেই মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর পবিত্র কুরআন নাজিল হয়েছিলো। এ রাতের এতই মহিমা যে ‘সূরাতুল কদর’ নামে একটি পূর্ণাঙ্গ সূরা আছে কোরআনে।

    মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র রমজান মাসের শেষ ১০ দিনের বিজোড় রাত্রির মাঝে শবে কদর লুকিয়ে রেখেছেন। আমরা যদি শবে কদর পেতে চাই, তবে রমজান মাসের শেষ ১০ বিজোড় দিন আমাদের অধিক পরিমাণে ইবাদত করতে হবে। শবে কদর হচ্ছে দোয়া কবুলের রাত্রি। এ রাত্রে হযরত জিব্রাইল (আ.) সহ সকল ফেরেস্তাগন পৃথিবীতে অবতরন করেন এবং যত মানুষ ইবাদতরত আছেন, সবার জন্য দোয়া করেন। আমাদের মাঝে অনেকেরই ২৭ শে রমজানে লাইলাতুল কদর তালাশ করার প্রবণতা রয়েছে। কিন্তু, রমজানের শেষ ১০ বিজোড় রাত্রিতে যেকোনো একদিন শবে কদর হতে পারে।

    লাইলাতুল কদর এর রাত অনেক তাৎপর্যপূর্ণ। তাই এই রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হওয়া চরম দুর্ভাগ্যের বিষয়। হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রমজান মাসের আগমন ঘটলে হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবিদের উদ্দেশে বললেন, তোমাদের নিকট এই মাসের আগমন হয়েছে, এ মাসে এমন একটি রাত রয়েছে, যা এক হাজার মাসের থেকেও উত্তম। যে ব্যক্তি উক্ত রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো, সে প্রকৃতপক্ষে সকল কল্যাণ থেকেই বঞ্চিত হলো। একমাত্র দুর্ভাগাই (সর্বহারা) এ রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হয়। ’ -সুনানে ইবনে মাজা: হাদিস নং ১৬৪৪

    তো আর দেরি কেনো, চলুন শবে কদরের নামাজের নিয়ম ও দোয়া সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক, এছাড়াও, শবে কদরের ইবাদতের নিয়ম নিয়েও আমরা বিস্তারিত জানবো এই পোস্টে।

    শবে কদরের নামাজের নিয়ম ও দোয়া


    শবে কদরের নামাজের নিয়ম ও দোয়া
    শবে কদরের নামাজের নিয়ম ও দোয়া

    শবে কদর এর রাতের জন্য আমাদের পুরো এক বছর অপেক্ষা করতে হয়। রমজান মাস দীর্ঘ ১১ মাস পর আসার পর সেই রমজান মাসে আমাদের লাইলাতুল কদরের রাত খুঁজতে হয়। শবে কদরের রাত্রে অনেকেই নামাজ পড়েন এবং দোয়া করে থাকেন। এই রাতে আমাদের অধিক পরিমাণ নামাজ পড়া এবং দোয়া করা উচিত। এতে করে আমাদের দোয়া আল্লাহ তায়ালার কাছে দ্রুত কবুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ রাতে আপনি কুরআন তিলাওয়াত করতে পারেন, বেশি বেশি নামাজ আদায় করতে পারেন, ইস্তেগফার পড়তে পারেন। 

    তো চলুন শবে কদরের নামাজের নিয়ম ও দোয়া নিয়ে আরেকটু বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। 


    শবে কদরের নামাজের নিয়ত


    নাওয়াইতু আন্‌ উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা’য়ালা রাকআতাই সালাতিল লাইলাতিল কাদ্‌রি নফ্‌লে মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি- আল্লাহু আকবর।

    বঙ্গানুবাদ : আমি কাবামুখী হয়ে আল্লাহর (সন্তুষ্টির) জন্য শবে কদরের দুই রাকআত নফল নামাজ পড়ার নিয়ত করলাম- আল্লাহু আকবর।

    কদরের নামাজের দোয়া


    আয়েশা (রা.) একদা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমি যদি লাইলাতুল কদর পেয়ে যাই, তবে কি দোয়া পড়বো?  তিনি বলেন, ‘তুমি বলো, ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧَّﻚَ ﻋَﻔُﻮٌّ ﺗُﺤِﺐُّ ﺍﻟْﻌَﻔْﻮَ ﻓَﺎﻋْﻒُ ﻋَﻨِّﻲ উচ্চারণ: ‘আল্লা-হুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নী’। অর্থ: ‘হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল। ক্ষমা করাটা আপনার পছন্দ। অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন।’ (সুনানে তিরমিজি: ৩৫১৩)।

    সুতরাং সারাদিন-রাত বেশি বেশি এই দোয়াটি পড়বেন। রমজান মাসের শেষ ১০ দিন উক্ত দোয়াটি বেশি বেশি পড়বেন। দোয়াটি আপনি যেকোনো অবস্থায় পড়তে পারবেন। 

    শবে কদরের নামাজ কবে ?


    রমজান মাসের শেষ দশকের যেকোনো বিজোড় রাত্রে শবে কদর হতে পারে। ২১/২৩/২৫/২৭/২৯ রমজানের যেকোনো একদিন শবে কদর হতে পারে। আমাদের শবে কদর তালাশ করতে হবে। রমজান মাসের শেষ ১০ দিনের মাঝে যে বিজোড় রাত্রিগুলো আছে, সেগুলোতে আমাদের বেশি বেশি ইবাদত করতে হবে। প্রতি রাতে অধিক পরিমাণে কুরআন তিলাওয়াত, নামাজ আদায় করা, জিকির করা, ইস্তেগফার করা ইত্যাদি ইবাদত করতে হবে।

    শবে কদরের নামাজ কিভাবে পড়তে হয় ?


    শবে কদরের নামাজ আদায় করার জন্য আলাদা বাধা-ধরা কোনো নিয়ম নেই। আপনি আপনার ইচ্ছে মতো দুই রাকাত করে যেকোনো পরিমাণ নামাজ আদায় করতে পারেন। এছাড়া, নামাজ আদায় করার সময় সূরা ফাতিহার সাথে যেকোনো সূরা মিলিয়ে পড়তে পারেন। প্রতি রাকাতে পড়তে হবে এমন কোনো সূরা নেই। সারা রাত কিংবা আপনার ইচ্ছে মতো সময় নামাজ আদায় করতে পারেন। 

    অনেকেই বলে থাকেন যে সূরা ফাতিহার সাথে সূরা ইখলাস মিলিয়ে নামাজ আদায় করতে হয়। আপনি সূরা ফাতিহার সাথে সূরা ইখলাস না মিলিয়ে যদি এ রাত্রে নামাজ আদায় করেন তবু আপনার নামাজ হবে। সাধারণত যেভাবে নামাজ আদায় করেন, সেভাবেই নামাজ আদায় করবেন লাইলাতুল কদরের রাতে। মনোযোগ দিয়ে, খুশু-খুজুর সহিত প্রতি রাকাত নামাজ আদায় করবেন। এতে করে নামাজ কবুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।

    তবে, কিছু শবে কদরের নামাজের নিয়ম রয়েছে, যেগুলো করলে আমরা অধিক সাওয়াব অর্জন করতে পারি। এগুলো নিচে পেয়ে যাবেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে যেনো লাইলাতুল কদরের রাত্রে বেশি বেশি ইবাদত করার তৌফিক দান করেন।


    শবে কদরের নামাজ কত রাকাত ?


    লাইলাতুল কদরের নামাজের প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়ার পর সূরা ইখলাছ, সূরা ক্বদর, আয়াতুল কুরছী বা সূরা তাকাছুর ইত্যাদি সূরা মিলিয়ে পড়া অধিক সওয়াবের কাজ। এই ভাবে কম পক্ষে ১২ রাকাত নামাজ আদায় করা উত্তম। এর বেশি যত রাকাত নামাজ আদায় করতে পারবেন ততই ভালো। লাইলাতুল কদরের রাত্রি হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। এ রাতে ফেরেস্তাগন আসমান থেকে নেমে এসে সকল ইবাদতে মগ্ন মানুষের জন্য দোয়া করে। ইবাদত করার জন্য এ রাতে কোনো সময়সীমা নেই। আপনি সারারাত ইবাদত করতে পারেন। ৮ রাকাত কিংবা ১২ রাকাত পড়তে হবে , এর কম পড়া যাবে না, এমন কোনো বাধা-ধরা নিয়ম নেই। কিন্তু অধিক ইবাদতে সাওয়াব ও অধিক পরিমাণ পাওয়া যায়।

     তাই, এ রাত্রে আমাদের বেশি বেশি ইবাদত করতে হবে। দোয়া কবুল হওয়ার সবথেকে বেশি সম্ভাবনাময় রাত হচ্ছে শবে কদরের রাত। তাহলে আমরা যদি বেশি ইবাদত করি, সেটা নিশ্চয়ই আমাদের জন্য লাভজনক। এ রাতে সকল ইবাদত অন্যান্য রাতের ইবাদত এর তুলনায় অধিক তাৎপর্যপূর্ণ। 

    শবে কদরের ইবাদতের নিয়ম


    শবে কদরের রাতে করার মতো ইবাদত এর কোনো আলাদা নিয়ম নেই। আপনি যদি এ রাতে নামাজ আদায় করেন, তবে ২ রাকাত করে যেকোনো পরিমাণে নামাজ আদায় করতে পারেন। যত বেশি নামাজ আদায় করবেন, আপনার আমলনামায় তত বেশি সাওয়াব যুক্ত হবে এবং দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা আরও বেশি হবে। অনেকেই শবে কদরের রাতে কুরআন তিলাওয়াত করে থাকেন। আপনি চাইল কুরআন তিলাওয়াত করতে পারেন। কুরআন তিলাওয়াত করলে কুরআন স্বয়ং নিজেই আমাদের জন্য হাশরের ময়দানে আল্লাহর কাছে সুপারিশ করবে।

    এছাড়াও, আপনি জিকির এবং ইস্তেগফার সহ সকল ধরণের ইবাদত করতে পারেন শবে কদরের রাত্রে। 

    শবে কদরের নামাজ কোন কোন সূরা দিয়ে পড়তে হয়


    শবে কদরের নামাজের নিয়ম হচ্ছে আপনি এই নামাজ অন্যান্য নামাজের মতো করেই পড়তে পারবেন। এজন্য আপনাকে আলাদা কোনো সূরা মিলিয়ে পড়তে হবে না। প্রতি রাকাত নামাজে সূরা ফাতিহা পড়ার পর অন্য একটি সূরা মিলিয়ে নামাজ পড়তে পারেন। লাইলাতুল কদরের উদ্দেশ্যে নামাজ আদায় করতে আলাদা কোনো সূরা পড়তে হবে না। তবে প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়ার পর সূরা ইখলাছ, সূরা ক্বদর, আয়াতুল কুরছী বা সূরা তাকাছুর ইত্যাদি সূরা মিলিয়ে পড়লে অধিক পরিমাণে সাওয়াব পাবেন। 

    যেহেতু লাইলাতুল কদর এর রাত, তাই সূরা কদর দিয়ে নামাজ পড়লে সাওয়াব বেশি পাবেন। এটাই হচ্ছে শবে কদরের নামাজের নিয়ম


    শবে কদরে করণীয়


    শবে কদরে আমরা করণীয় হচ্ছে বেশি বেশি ইবাদত করা। শবে কদর এর রাত্রি নির্দিষ্ট কোনো রাত্রি নয়। আমাদের প্রতি বিজোড় রাতেই শবে কদর তালাশ করতে হবে। রমজান মাসের শেষ ১০ দিনের সকল বিজোড় রাত্রে অধিক পরিমাণে ইবাদত করতে হবে এবং মাগফিরাতের জন্য দোয়া করতে হবে। শবে কদরে যেসব ইবাদত করতে পারেন :

    • অধিক পরিমাণে নামাজ আদায় করা
    • বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করা
    • বেশি বেশি জিকির করা
    • ইস্তেগফার করা ও ক্ষমা চাওয়া

    উপরোক্ত বিসয়গুলোর মতো সব ধরণের ইবাদত করতে পারেন এই রাতে। শবে কদর অনেক মহিমান্বিত রাত। তাই, শবে কদর পেতে হলে আমাদের রমজান মাসের শেষ ১০ বিজোড় রাত্রি ইবাদত করতে হবে। হযরত আয়েশা (রা.) বলেন, যখন রমজানের শেষ ১০ রাত এসে যেতো, তখন রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাত জেগে থাকতেন এবং তার পরিবারের সদস্যদেরকে জাগিয়ে তুলতেন। তিনি অত্যন্ত উদ্দীপনার সঙ্গে ইবাদত-বন্দেগিতে রত থাকতেন এবং সাংসারিক পারিবারিক বা দাম্পত্য কাজকর্ম বন্ধ করে দিতেন। (বুখারী ও মুসলিম)

    এই রাতে যে ব্যক্তি মাগরিব এশা ও ফজরের নামাজ জামাতের সাথে পরে সে শবে কদরের একটি অংশ পাবে। যে ব্যক্তি এ রাত থেকে বঞ্চিত সে হাজারো কল্যাণ ও বরকত থেকে বঞ্চিত। (ইবনে মাজাহ) তাই, বঞ্চিত না হতে চাইলে আমাদের উচিত শবে কদরের নামাজের নিয়ম মেনে নামাজ আদায় করা এবং অন্যান্য ইবাদত করা। 

    শবে কদরের রাতে করণীয়:


    পবিত্র রমজান মাসে নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্যান্য মাসের তুলনায় অধিক পরিমাণে ইবাদত করতেন। রমজান মাসের শেষ ১০ দিন প্রায় সারা রাত জেগে ইবাদত করতেন। 

    শবে কদরের ফজিলত


    শবে কদরের নামাজের নিয়ম যেমন রয়েছে, ঠিক তেমনি শবে কদরের অনেক ফজিলত রয়েছে। চলুন ফজিলতগুলো জেনে নেয়া যাক। 

    • লাইলাতুল কদরের রাত হাজার মাস হতে উত্তম এবং কল্যাণময়। (কুরআন)
    • শবে কদরের রাতেই মহানবী (সা.) এর উপর পবিত্র কুরআন নাযিল করা হয়েছে। (কুরআন)
    • এ রাতে আসমানের ফেরেশতাগণ নেমে আসেন এবং ইবাদতে মগ্ন বান্দাদের জন্য দোয়া করেন। (হাদিস)
    • ফজর পর্যন্ত লাইলাতুল কদরের রাত পুরাপুরি শান্তি এবং নিরাপত্তার। (কুরআন)
    • এ রাতে প্রত্যেকটি ব্যাপারে অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত ও সুদৃঢ় ফায়সালা জারি করা হয়। (কুরআন)
    • এ রাতে ফেরেস্তা নাযিল হয় এবং আবেদ বান্দাহদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন।
    • এ রাতে কল্যাণ থেকে একমাত্র হতভাগ্য লোক ছাড়া আর কেউ বঞ্চিত হয় না। (ইবনে মাজাহ-মিশকাত)
    • যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে ঈমান সহকারে ও আল্লাহর নিকট হতে বড় শুভফল লাভের আশায় ইবাদতের জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে, তার পিছনের সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। (বুখারি-মুসলিম)

    সাধারণত জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলি


    শবে কদর বা লাইলাতুল কদর নিয়ে অনেকেই বিভিন্ন প্রশ্ন করে থাকেন। যেমন : শবে কদরের নামাজের নিয়ম, লাইলাতুল কদরের নামাজ কিভাবে পড়তে হয় ইত্যাদি। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো দেখে নেয়া যাক।

    শবে কদরের নামাজ নফল না সুন্নত ?


    শবে কদরের নামাজ হচ্ছে নফল নামাজ। নফল নামাজ হওয়ার কারণে আপনি যদি বেশি পরিমাণে ইবাদত করেন, তবে অধিক সাওয়াব পাবেন। এ রাত বছরে একবার ই আসে। তাই, অধিক পরিমাণে ইবাদত করার চেষ্টা করুন।


    শবে কদরের নামাজ বিতরের আগে না পরে ?


    শবে কদরের নামাজ হচ্ছে নফল নামাজ। নফল নামাজ হওয়ার কারণে আপনি এটি যেকোনো সময় পড়তে পারেন। বিতরের নামাজের আগে কিংবা পরে যেকোনো সময় শবে কদরের নামাজ আদায় করতে পারেন। 

    শবে কদরের নামাজের নিয়ম


    শবে কদরের নামাজের নিয়ম হচ্ছে প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়ার পর সূরা ইখলাছ, সূরা ক্বদর, আয়াতুল কুরছী বা সূরা তাকাছুর ইত্যাদি সূরা মিলিয়ে পড়া। এই শবে কদরের নামাজের নিয়মটি অনুসরণ করলে পাবেন অধিক সাওয়াব।

    শবে কদরের নামাজের নিয়ম নিয়ে শেষ কথা


    আজকের শবে কদরের নামাজের নিয়ম পোস্টে আমি আপনাদের সাথে শবে কদরের নামাজের নিয়ম ও দোয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি শবে কদরের নামাজের নিয়ম কি, শবে কদরের নামাজ কোন কোন সূরা দিয়ে পড়তে হয় এবং কিভাবে শবে কদরের নামাজ পড়তে হয় সেটি জেনে গেছেন। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আবারও পরবর্তী পোস্টে দেখা হবে। আল্লাহ হাফেয। 

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    0 মন্তব্যসমূহ